নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জেলার ডিমলা থানার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছচাপানী(কলেজ পাড়া) গ্রামে অবৈধভাবে জমি জবর দখলের ঘটনায় ডিমলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইং ৪/০৮/২০২৫ তারিখে মোঃছাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিমলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর সি আর- ২২১/২০২৫। মামলার আসামীরা হলেন দিলীপ কুমার রায় ওরফে রসনাথ রায়,অমূল্য রতন রায়,দীপক চন্দ্র রায়, নেতমা রানী রায়, লতা রানী রায়।
মামলার আরজি ও বাদী সুত্রে জানা যায়, তফসিল বর্নিত জমির সি,এস-৩১৮ নং খতিয়ানের মালিক ছিলেন জনৈক ভোগানাদু বর্মন,তিনি ভোগ দখলীকার থাকানস্থায় মারা গেলে তার উত্তরাধিকার পুত্র ললিত মোহন বর্মন ও কন্যা দীনোমনি বর্মনী। ললিত মোহন রায় নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে,ভোগনাদু বর্মনের ত্যাক্ত নিত্ন প্রাপ্ত হন পুত্রবর্তী কন্যা দীনোমনি বর্মনী স্বামী-সতিশ চন্দ্র রায়। দীনোমনি বর্মনী জমি ভোগদখল থাকাবস্থায় মারা গেলে, তার উত্তরাধিকার দুই পুত্র জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও কৈলাশ চন্দ্র রায় ভোগদখল করিতে থাকে। ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী মৌজার জে,এল নং-এস,এ-৪৯, খতিয়ান নং-এস,এ-২৬৮,দাগ নং-এস,এ-৪৫১৪ মোট-৩৬ শতক জমি দুই ভাই সমান ভাগে ভাগ করে ১৮শতক করে ভোগদখল করিতে থাকে।শ্রী জ্যোতিষ চন্দ্র রায় জরুরি প্রয়োজনে ১৮শতক জমি মোঃ ছাইদুল ইসলামের নিকট গত ১৪/১২/২০২৩ইং তারিখে ৬১১০নং দলিল মূলে ৬শতক,১৭/০৪/২৪ইং তারিখে ১৩৬৩নং দলিল মূলে ৪শতক,৩০/০৭/২৪ইং তারিখে ২৯২৫নং দলিল মূলে ৮শতক মোট ৩ দলিলে মোট ১৮শতক বিক্রয় করে দখল বুঝিয়ে দেন। বাদী ছাইদুল ইসলাম জমির দখল বুঝিয়ে নিয়ে চতুর দিকে বাঁশের বেড়া ঘিরে তাদের নিজ নামীয় সম্পত্তি সন সন খাজনা দাখিল করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসিতেছিল। বাদী তপসিল বর্ণিত সম্পত্তি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করা অবস্থায় ১,নং আসামীর হুকুমে ও ৩ নং আসামীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় অন্যান্য আসামীগণ বাদী নামীয় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা ও পায়তারা করিয়া আসিতেছিল। গত ৩০/৭/২৫ইং সকাল বেলা আসামীগণের কোন কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ গায়ের জোরে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোকবলে বলিয়ান হয়ে মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমি জবর দখলের জন্য অনাধিকার চর্চা করে। বাদী বাঁধা করিলে ডাংমারের চেষ্টা করে, এমন সময় বাদীর স্ত্রী নুরী বেগম এগিয়ে আসলে তাকে ডাংমার সহ শ্লীলতাহানি ঘটনা ঘটে। পরে বাদী স্থানীয়দের সহায়তায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করেন।স্থানীয় ভাবে বাদী শালিস এর মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করিলেও আসামীগণ কোন কিছুর তোয়াক্কা না করিয়া বীরদর্পে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। আসামীগণ জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করিয়া এলাকার বিভিন্ন লোকের জায়গা দখল করে এবং নিজ জমি হিসেবে প্রচার করিয়া এলাকায় জালিয়াতি ভূমিদস্যুতা করিয়া আসিতেছে। বাদীর তফসিল বর্ণিত জমি আসামীগণ গায়ের জোরে বলিয়ান হয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। বিষয়টি লইয়া বাদী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মাধ্যমে আপোষ হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বাদীর জমি ফেরত না দিয়ে অবৈধভাবে দখল করিয়া সেখানে চাষাবাদ অব্যহত রাখিয়াছে এবং হুমকি দিয়া আসিতেছে। নিরুপায় হয়ে ছাইদুল ইসলাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাদী হয়ে মামলাটি করিয়াছে।আদালত মামলাটি ডিমলা থানায় নিকট তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।থানারবঅফিসার ইনচার্জ ওসি,সাব-ইন্সপেক্টর(নিরস্ত্র)পরিতোষ চন্দ্র বর্মন,বিপি-৮৭১৪১৭১০৩১ কে মামলাটি তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন।
মুঠোফোনে সাব-ইন্সপেক্টর পরিতোষ চন্দ্র বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ,মামলা সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে পাঠানে হয়েছে। এবিষয়ে বিবাদী অমুল্য রতন রায় বলেন, আমি ওয়ারিশ সুত্রে ও কবলা মুলে ঐ জমির মালিক, ৩৫ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি।বাদী কার কাছে কোথায় জমি কিনেছে জানি না।আমার জমি আমি চাষাবাদ করছি।
এবিষয়ে বাদী ছাইদুল ইসলাম বলেন, ওয়ারিশের কাছে জমিটি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছি,, তাদের কোন কাগজ পত্র নেই,, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে গায়ের জোরে জমিটি দখল করে নিয়েছে। আমি অসহায় মানুষ তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।আমি এর সঠিক বিচার চাই।

Reporter Name 

















