মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মনোয়ার হোসেন জুয়েলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ও সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের বোন জামাই (ভগ্নিপতি) এ্যাড: আনোয়ার সাদাত(অতনু বিশ্বাস) বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বাদী অতনু বিশ্বাস জানান, গত ১৫ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ৪৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল সোনামসজিদ স্থল বন্দরে ৩০০ কোটি টাকা হরিলুট করেছে এমন শিরোনামে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। এ সংবাদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত একমাত্র সংসদ সদস্য ডা. শিমুল এর শুধু মর্যাদাহানি হয়নি বরং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সকল অংগ সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলে নিয়ে আসামীর প্রতি আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সমন জারি করেছে। সাংসদ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, সোনামসজিদের কর ফাঁকি বা টাকা হরিলুটের সঙ্গে আমার কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। স্বাধীনতার বিপক্ষের একটি মহল ষড়যন্ত্র করে জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, আমি কখনও দুর্নীতি করিনি আর এটাকে প্রশ্রয়ও দেই না। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, সোনামসজিদের রাজস্ব ফাঁকির রিপোর্টটি আমার একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট। বন্দরে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ও বিভিন্ন ডকুুুুমেন্টের ভিত্তিতেই সেই রিপোর্টটি করা হয়েছে। তারপরে শুনেছি স্থানীয় সাংসদের ভগ্নিপতি আমার নামে মামলা করেছে।তিনি আরো বলেন, ঐ রিপোর্টটি যেহেতু অনুসন্ধানী রিপোর্ট তাই সকল ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে যা যথাসময়ে মাননীয় আদালতে হাজির করা হবে এবং শতভাগ সত্য রিপোর্ট করার জন্য মামলা হলেও সেটা আইনিভাবেই মোকাবেলা করা হবে। আর সংবাদ সম্মেলনে উনারা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
Leave a Reply