বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাকে আটকের খবর পেয়ে ধর্ষণ মামলার এক আসামি আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধুনট থানায় হাজির হলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম বকুল হোসেন মন্ডল। তিনি উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের অফফের আলীর ছেলে। বকুল হোসেনের, ধর্ষণের শিকার হয়ে এক স্কুলছাত্রী পুত্রসন্তান প্রসব করেছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন পিবিএ’কে বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি বকুলকে গ্রেফতারের জন্য কৌশল হিসেবে তার মাকে আটক করা হয়েছিল। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বকুল হোসেন আত্মসমর্পণ করেছে। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং তার মাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা রশিদ মন্ডলের বাড়ি থেকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। বিয়ের প্রলোভনে বকুল হোসেন স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের সময় ধরে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও তার নাতনিকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও প্রেমিক বকুল হোসেনকে আসামি করা হয়।
এ অবস্থায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ১ জানুয়ারী বাবার বাড়ীতে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। এ দিকে সন্তান প্রসবের পর থেকে লোকলজ্জায় মেয়েটি ও তার পারিবারসহ গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি স্কুলছাত্রীর আপন নানা রশিদ মন্ডলকে গত ২৫ জানুয়ারি গ্রেফতার করে বগুড়া কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রশিদ মন্ডল উপজেলার যমুনা পাড়ের কৈয়াগাড়ি গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে।
Leave a Reply