বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক:

একজন রোগীর অনেক সময় সহযোগিতার দরকার হতে পারে। সুস্থ ব্যক্তিকে কোন কারণে রোগীর ঘরে যেতে হলে অবশ্যই দু’জনকেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডাবল মাস্ক ব্যবহার করলে ঝুঁকি অনেকটা কমে আসবে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে সেবা দান করার জন্য যিনি অপেক্ষাকৃত বয়সে তরুণ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ তাকে প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীর ঘরে পাঠানো উচিত। সেবাদানকারী ব্যক্তিরও কোয়ারেন্টিন মেনে চলা দরকার। পরিবারের বাকিদের আক্রান্ত ব্যক্তি ও সেবাদানকারী ব্যক্তির কাছ থেকে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত। পরিবারের বয়স্কদের এবং যাদের অন্য কোন রোগ আছে বা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা-শুশ্রূষার দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত নয়। রোগীর যত্নে পাশে থাকার জন্য সিডিসির দেওয়া নিম্নোক্ত নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা উচিত:-

—সেবাদানকারী রোগীর খুব কাছে না যাওয়া।

—মাস্ক ছাড়াও ফেসশিল্ড পড়ে হাতে গ্লাভস পড়ে রোগীর সংস্পর্শ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।

—যদি আলাদা ঘর না থাকে রোগের সঙ্গে একই ঘরে থাকতে হয়, তাহলে দূরত্ব রেখে ঘুমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীর রুমে অবশ্যই আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

—ঘরে অতিথি আসা একেবারে বারণ।

—রোগীর খাবার রুমের বাইরে দরজার পাশে রেখে দিলে তিনি নিয়ে নেবেন, রোগীর জন্য আলাদা বাসনপত্রের ব্যবস্থা করতে হবে।

—সাবান, তোয়ালেসহ নিত্যব্যবহার্য সরঞ্জাম থাকবে আলাদা। দরকার হলে রোগীর এসব জিনিসপত্র একটা ছোট্ট ব্যাগে ভরে রাখুন।

—সেবাদানকারী যাতে নিজে অসুস্থ না হন, সে জন্য প্রতিদিন নিয়মিত প্রতিরোধব্যবস্থা নিতে হবে।

—বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। চোখ, নাক, মুখ ছোঁয়া যাবে না। ব্যবহৃত পোশাক ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ।

—রোগীর নিত্য ব্যবহার করা জিনিসপত্র নিজে ধুয়ে নিতে পারলে ভালো। এই যেমন: গ্লাস, থালা, জগ, বাটি ইত্যাদি।

—যদি রোগীর বাসনকোসন সেবাদাতাকে পরিচ্ছন্ন করতে হয়, তবে হাতে গ্লাভস পরে, সাবান আর গরম জলে ধুতে হবে। এরপর সাবধানে গ্লাভস খুলে আবার হাত সাবানজলে ২০ সেকেন্ড ধুয়ে নিতে হবে।

—রোগীর কোনো জিনিসপত্র সেবাদানকারী ব্যবহার করা যাবে না। নিজে মাস্ক পরবেন আর রোগীর ঘরে ঢোকার আগে রোগীকেও মাস্ক পরতে বলুন।

—রোগীর মলমূত্র, রক্ত, লালা ধরতে হলে হাতে গ্লাভস পরতে হবে আর এগুলোর কাজ শেষ হলে গ্লাভস খুলে বর্জ্য বিনে ফেলতে হবে। তারপর আবার হাত সাবানজলে ভালো করে ধুতে হবে। রোগীর জন্য সম্ভব হলে আলাদা বাথরুম রাখুন। আর একই বাথরুম ব্যবহার করতে হলে, রোগী যেসব জায়গা ছোঁবেন, সেসব জায়গা দ্রুত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে ফেলতে হবে।