মোঃ জামিল হোসেন,ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি :মৌমাছি মৌমাছি/ কোথা যাও নাচি নাচি/ দাঁড়াও না একবার ভাই,/ ওই ফুল ফোটে বনে/ যাই মধু আহরণে,/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।’
কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সেই মৌমাছিরা এবার বাসা বেঁধেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিলভাতিয়ার সোনাজলের সেভেন স্টার ভাটার ১৩ বছর বয়সী এক বটগাছে। তা-ও আবার একটি-দুটি নয়; ওই একটি গাছেই মৌমাছির দল ৭০ টি চাক বেঁধেছে। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য এখন প্রতিদিনই ভোলাহাটের সোনাজলের ইটভাটায় ভিড় করছে উৎসুক কিছু মানুষ।
সোনাজলের সেভেন স্টার ইট ভাটায় ১ ডিসেম্বর গিয়ে দেখা গেছে, সোনাজলের ঠিক রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে তেরবর্ষী বটগাছটি। গাছটির গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুঞ্জনে পুরো এলাকা মুখরিত। খোঁজ পেয়ে ঘুরতে আসা মানুষগুলো সেখানে বেড়াতে এসে ওই বটগাছের কাছে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থমকে দাঁড়াচ্ছেন।
সেভেন স্টার ইট ভাটার মালিক রাফিজুল হক ডাবলু জানান,আমি ১০ বছর থেকে ভাটা করেছি আর তখন থেকেই মৌচাকগুলো এখানে আছে। লোকজন দেখতে আসছে আমার বেশ ভালোই লাগে।
ইটভাটার আরেক মালিক টুনটুন আলী জানায় মৌমাছিগুলো ৫ মাস থাকে আবার চলে যায় এবং আসার আগে আমরা গাছটিকে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে রাখি।
ভোলাহাট উপজেলার কুমিরজান গ্রামের মোঃ শাহাদাত হোসেন জনি বলেন, আমি একজন প্রবাসী সিঙ্গাপুরে থাকি ছুটিতে এসেছি, সোলাজলে বেড়াতে এসে দেখলাম একটি বটগাছে ৭০টি মৌচাক। একটি গাছে এতগুলো চাক হতে পারে, তা কখনো ভাবতে পারিনি। এই প্রথম দেখলাম।’
আরেক দর্শনার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, মৌচাকগুলোতে কোনো ঢিলাঢিলি নাই। সে জন্য মৌমাছিরা নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারছে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে পারে।’
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সুলতান আলী জানান,মৌমাছি এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে ভালোবাসে। একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সচরাচর দেখা যায় না। এসব মৌচাক ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভোলাহাটের সোনাজলে আকর্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে আমি অনুরোধ করবো সবাইকে মধুর লোভে কেউ যেন মৌমাছির চাকগুলো ভেঙ্গে না ফেলে।
Leave a Reply