নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিন ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের মৃত: কালু মোহাম্মদের পুত্র দুলাল হোসেন ও দুলাল হোসেন পুত্র সবুজ ও শাহিনকে শ্রমের টাকা লেনদেনের বিষয় হত্যার চেষ্টা করে একই গ্রামের মৃত: রহম আলীর পুত্র সেলিমুর রহমান ও সেলিমুর রহমানের ছেলে বাটুল, টুটুল, আলামিন, মিঠুন সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুলাল হোসেনের ছেলে সবুজ কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করিতে নিয়ে যায় আলামিন। পরবর্তীতে সবুজকে তার পারিশ্রমিকের টাকা না দিয়ে আলামিন মালিকের নিকট হইতে টাকা গ্রহন করে চট্টগ্রাম হইতে বাড়ীতে চলিয়া আসিলে উক্ত টাকার জন্য সবুজ বাড়ীতে আসিয়া আলামিনের নিকট টাকা চাহিতে গেলে আলামিন কালক্ষেপন করিতে থাকে। ইহার এক পর্যায়ে গতকাল রাত ৮.৩০ মিনিটে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করিয়া কাকড়া বাজার নামক স্থানে দুলাল হোসেনের চায়ের দোকানে আলামিন সহ তার দলবল আসিয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিয়া দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করার সময় সবুজ বাধা দেওয়া তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে উপর্যুপুরী চোট মারে এবং তার ছোট ভাই শাহিন ও তার বাবা দুলাল হোসেন তাকে বাচাঁনোর জন্য এগিয়ে আসিলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দ্বারা চোট মারিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।জখমীদের অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় দুলাল হোসেনের ভাতিজা সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে ডিমলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। কর্তব্যরত চিকিৎসক দুলাল ও সবুজের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন এবং ছোট ছেলে শাহিন ডিমলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয় দুলাল হোসেন বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের প্রেক্ষিতে ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান ঘটনায় জড়িতদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply