এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড- কু*’খ্যা*ত স*’ন্ত্রা*সী এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড নুর আলম প্রায় ২০ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। তার সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ও অন্য কোনো মা*মলা না থাকলে তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এরশাদ শিকদারের এই বডিগার্ড ১২ খু’*ট*নের সহযোগী। সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এই আসামিকে মুক্তির আদেশ দেন।
জানা যায়, এরশাদ শিকদার গ্রে’প্তার হওয়ার পর নুর আলম রাজসাক্ষী হন। তার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে খুলনার জলিল টাওয়ার মালিকের ম্যানেজার খালিদ হ’*ত্যা মা*ম*লা*য় তার ফাঁসির আদেশ হয়।
২০০৪ সালের ১০ এপ্রিল মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর হয়। এভাবে একে একে ১১টি মা*ম*লায় রাজসাক্ষী হিসেবে কারাগার থেকেই এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন নুর আলম।
বাকি ছিল রাজধানীর লালবাগ থানার আজিজ অপহরণপূর্বক হ*’ত্যা* মা*মলার সাক্ষ্য দেওয়া। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট মামলাটি চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন।সোমবার মামলাটির ধার্য তারিখে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আইনজীবী মুনতাছির মাহমুদ রহমান কারামুক্তির আবেদন করেন। বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আবেদন মঞ্জুর করে কারামুক্তির আদেশ দেন।
শুনানিকালে নুর আলমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. আলমগীর হোসাইন তার সঙ্গে কথা বলেন।
আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, নুর আলম রাজসাক্ষী হয়ে ২০ বছর ধরে জেলে আছেন জানার পর তাদের অফিসের মাধ্যমে জামিন করিয়েছেন। খুলনার একটি মা*মলা তার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট আছে বলে জানতে পেরেছি। সেখানকার আইনজীবীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্র*ত্যা*হার হলেই তিনি কারামুক্ত হবেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। নুর আলম কা*রাগারে থাকাবস্থায় তার ছেলে রাফী (১৮) মা*’রা গেছেন। স্ত্রীর বিয়ে হয়েছে অন্য জায়গায়। বাড়িঘর জমিজমা এখন কিছুই নেই।
প্রথম জীবনে নুর আলম জাহাজে চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে তিনি এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড হিসেবে যোগ দেন।
কিশোরগঞ্জর পুরান পৌর শহরে থানা এবং বয়লা এলাকার দুইটি মিলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে বেরিয়ে এসেছে ভেজালকারবারীদের ভয়ানক বাণিজ্য।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ভ্রাম্যমাণের এ অভিযানে গিয়ে দেখা যায় নিম্নমানের মরিচ, হলুদ কিংবা ধনিয়া সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ধানের কুড়া ও টেক্সটাইল রংসহ অন্যান্য উপকরণ।
জেলা পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরানথানা এলাকার শরীফের মসলা মিলে ধানের কুড়া ও হলুদ মিশিয়ে ধনিয়া প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বয়লা এলাকার মেহেক অটোক্রাসিং মিলে রং মিশিয়ে মরিচের গুঁড়ো প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিলটি থেকে তিনশ কেজি রং মেশানো মরিচের গুঁড়ো জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন জানান, বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও মো. ইব্রাহীম হোসেন জানান।
Leave a Reply