ডি এম কপোত নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চাড়ালডাংগা গ্রামের চাষি আফতাব আলী অসময়ের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ৫ কাঠা (৮শতক) জমিতে তরমুজ চাষ করে চাষি আফতাব ৫০ টাকা কেজি দরে তিনি এ তরমুজ বিক্রি করেন। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।
৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে কৃষক আফতাব আলীর মাঠ পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা। এর আগে সকালে কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারে বছরব্যাপি ফল প্রকল্প এবং দুপুরে গোমস্তাপুরে এনএটিপি-২ প্রকল্পের চাষি প্রশিক্ষণে যোগদেন কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা।
তিনি জানান, চাষি আফতাব আলী জুনের প্রথম সপ্তাহে আ¤্রতা জাতের তরমুজ বীজ বপন করেন। বীজ বপনের আগে জমিতে চাষ-মই এবং সার দিয়ে জমিটি ৪ ফুট চওড়া পলিথিন মালচ দেন এবং বেড ও ড্রেন তৈরি করেন। এরপর ৫ বাই ৩ ফুট পর পর বীজ বপন করে যতœসহকারে পরিচর্যা করতে থাকেন। গাছ একটু বড় হয়ে উঠলে বাঁশের বাতা এবং সুতা দিয়ে মাচাও তৈরি করেন। ২ মাসের মাথায় তার ফল খাবার উপযোগী হয়ে যায়।
চাষি আফতাব আলী জানান, বাজারে অসময়ে তরমুজের চাহিদা থাকায় ক্রেতারা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনতেন। তিনি আরো জানান, ৫ কাঠা (৮শতক) জমিতে তরমুজ চাষে মোট খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। খরচের থেকে যে লাভ হয়েছে তাতে কৃষক আফতাব খুশী। এরই মাঝে তিনি জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে মাধুরি জাতের তরমুজ বীজ বপন করেন তার ৭ কাঠা জমিতে।
এর ফল সপ্তাহ খানেক পরেই খাবার উপযোগী হবে বলে তিনি জানান। এ চালানে চাষি প্রথমবারের তুলনায় বেশি লাভ করবেন বলে আশা করছেন। অসময়ের এ তরমুজ খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু। তিনি অন্যান্য কৃষকদেরও এ তরমুজ চাষের আহ্বান জানান।
Leave a Reply