মোঃ নাসিম, বিষেশ প্রতিনিধি ঃ একজন শিক্ষক, একজন মানুষ গড়ার কারিগর যখন সমাজের নিকট বেচে থাকার আকুতি জানায় তখন সভ্য সমাজের মুখ লুকানোর জায়গা থাকে কোথায়?
যে চোখ হাজারো ছাত্রের মাঝে সপ্নের ফেরি করতো সে চোখে এখন শুধুই অন্ধকার। যে মুখের বাণীতে ছাত্র ছাত্রীরা মন্ত্র মুগ্ধ হতো আজ সেই মুখে কথা নেই। ছাত্রদের মাঝে জ্ঞান বিলিয়েছেন, দিয়েছেন প্রেরণা অথচ আজ নিজেই প্রেরণাহীন।
মোঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লা মানুষ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন গোপালপুর কো অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে( বিএস সি)।তার পর ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে( সহকারী শিক্ষক গণিত), সহকারী প্রধান শিক্ষক মেরুরচড় হাছেন আলি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্তমান নিলাক্ষিয়া আর জে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে প্রাধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
দেলোয়ার স্যার ছিলেন ছাত্রছাত্রীদের নিকট টিউশনির সসম্মানীর ক্ষেত্রে একদম কম চাহিদা সম্পন্ন একজন বিএসসি। মানুষের প্রয়াস সেখানে থাকে সম্পদ গড়া, আর তিনি সঞ্চয় করেছেন জ্ঞান, ভালোবাসা আর সম্মান। হাজারো ছাত্রকে নিজ পায়ে দাড়াতে শিখিয়েছেন।
পারিবারিক ভাবে তিনি ৪ সন্তানের পিতা ( ৩ ছেলে ১ মেয়ে)। বড় ছেলে জাহিদ শ্রীবর্দী পুস্পকানন টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। ছাত্ররাই যার প্রাণ, ছাত্ররাই তার সম্পদ, সেচ্ছায় যিনি কতো ছাত্রের পড়াশোনার দায়িত্ব ভার নিতেন আজ তারই সন্তানের পড়া শুনা বন্ধের দ্বার প্রান্তে।
তার হাজারো ছাত্রছাত্রী আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আজ তার অসহায় চোখে বাচার আকুতি। কিডনি, ডায়েবিটিস, হার্ট ও চোখের সমস্যায় তিনি শয্যাশায়ী। এই গুণী শিক্ষক নিজের থাকা সকল সহায় সম্বল খুইয়েছেন তার চিকিৎসা ব্যায়ে।
এখন তার বাচার যে আকুতি তা কেবল বাস্তব রুপ দিতে পারে বিত্তবানদের সহায়তায়। যদি কোন হ্রদয়বান সহযোগিতা করতে চান নিম্ন ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, প্রধান শিক্ষক, নিলাক্ষিয়া আর,জে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়।
Leave a Reply