বগুড়ার ধুনটে চাঁদা না দেয়ায় সাহেনা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধুর হাত কেটে পুকুরে ফেলে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের কৈগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাহেনা বেগম ওই গ্রামের দরিদ্র কৃষক কপিল উদ্দিনের স্ত্রী। এছাড়া দূর্বৃত্তদের হামলায় আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন-কৈগাড়ী গ্রামের মৃত এহেন্দা আলীর ছেলে কপিল উদ্দিন (৭০), তার ছেলে রুবেল (২৪), নূরুন্নবী (৩০) একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী তফুরা বেগম (২৮) ও ফটিক মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০)। আহতদের মধ্যে সাহেনা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত তিন মাস আগে কৈগাড়ী গ্রামের রাসেল স্মৃতি সংঘের সোলার প্যানেলের ব্যাটারী চুরি হয়ে যায়। সোমবার সকালে ক্লাবের ব্যাটারী কেনার জন্য কৈগাড়ী গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২৪) ও আজাহার আলীর ছেলে বিপ্লব মিয়া (২৫) একই গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে রুবেলের কাছে ১শ’ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু সে ক্লাবের সদস্য না হওয়ায় টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আল-আমিন ও বিপ্লব সহ ১৫/২০ জন রুবেলকে মারধর করতে থাকে। এতে বাধা দিলে তারা রুবেলের মা-বাবা ও ভাই সহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে আল-আমিনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রুবেলের মা সাহেনা বেগমের বাম হাতের কনুই পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে। পরে তারা বিচ্ছিন্ন হাত পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান ও ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই গৃহবধুর বিচ্ছিন্ন হাত ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত আল-আমিন, বিপ্লব ও রনি খাতুনকে আটক করা হয়েছে এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply