শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির জনসভা-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে চেয়ারম্যানের নোটিশে সহস্রাধিক বিঘা জমির ফসল উৎপাদন অনিশ্চিতের পথে-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল জনসভা-বরেন্দ্র নিউজ
রোদচশমা ফ্যাশন না প্রয়োজন রূপ চর্চা

রোদচশমা ফ্যাশন না প্রয়োজন রূপ চর্চা

বেশির ভাগ মানুষই রোদচশমা পরে থাকে ফ্যাশনেবল লুক পাওয়ার জন্য অথবা সূর্যের তীব্র আলোতে স্বস্তি পেতে। যদি আপনিও সেই বেশির ভাগ মানুষের একজন হয়ে থাকেন, এবার তাহলে জেনে নিন কেন রোদচশমা পরা আরো বেশ কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ। 
হ চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা : চোখ খুবই স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে চোখের বিভিন্ন রোগ হতে পারে, যার মধ্যে কিছু নিরাময়যোগ্য, অন্য রোগগুলোর নিরাময় সম্ভব না-ও হতে পারে। রোদের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি চোখের টিস্যু বৃদ্ধির মতো যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ ও চোখের ছানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি গ্লুকোমা রোগকে আরো বাড়িয়ে তোলে। 
হ স্কিন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায় : চোখের মতো চোখের আশপারের অংশও খুবই স্পর্শকাতর। প্রায় ১০ শতাংশ স্কিন ক্যান্সারের উৎপত্তি ঘটে এই অংশটুকুতে। সানগ্লাস পরলে তাই শুধু চোখই নয়, সুরক্ষা পাবে আপনার ত্বকও। 
হ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন থেকে বাঁচায় : রোদের তীব্র আলো মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত রোদচশমা ব্যবহার করলে এসব যন্ত্রণাদায়ক মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের পুনরাবৃত্তি ও তীব্রতা দুই-ই কমে আসে। আর আপনার যদি মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার সমস্যা না-ও থেকে, তবুও রোদচশমা আপনার চোখকে ক্লান্তি থেকে এবং রোদে চোখ টনটন করার অনুভূতি থেকে বাঁচাতে পারে। 
হ দূষণ ও অন্যান্য পদার্থ থেকে সুরক্ষা : দূষিত বাতাস ও ধুলাবালু থেকে চোখতে রক্ষা করার জন্য ঢাকা শহরে বসবাসকারীদের জন্য সানগ্লাস পরা অত্যন্ত জরুরি। ঢাকার বাইরে দূষণ কিছুটা কম হলেও ঢাকার বাইরে বসবাসকারীদেরও সানগ্লাস পরতে হবে। ধুলাবালুর কণা চোখে গেলে কর্নিয়াতে দাগ পড়ে যেতে পারে এবং চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। 
হ শিশুদেরও প্রয়োজন সানগ্লাস : বেড়ে ওঠা চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিশুদেরও অবশ্যই সানগ্লাস পরতে হবে। শিশুদের চোখ যেহেতু পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি, তাই সূর্যের ইউভি রশ্মি তাদের চোখের আরো বেশি ক্ষতি করে, সে জন্যই শিশুদের জন্য সানগ্লাস পরে বাইরে যাওয়া আরো বেশি প্রয়োজন।
চেহারা ও রোদচশমার আকার
গোল চেহারা : গোল চেহারারা সাথে সবচেয়ে ভালো যায় রেকট্যাঙ্গেল, স্কয়ার ও এভিয়েটর আকারের সানগ্লাস। আর এই আকারের চেহারার সাথে একেবারে বেমানান হলো ওভারসাইজড, রাউন্ড, ওভাল ও ব্রোলাইন শেপের সানগ্লাস। 
লম্বাটে চেহারা : লম্বাটে চেহারায় ভালো লাগে ক্লাসিক ওয়েফ্রেম, ব্রোলাইন, ওভাল, এভিয়েটর, রাউন্ড ও জিওমেট্রিক। আর এই আকৃতির চেহারা হলে ওভারসাইজড, রেকট্যাঙ্গেল ও স্কয়ার ফ্রেমের চশমা লম্বাটে চেহারায় খুব একটা মানায় না। 
স্কোয়ার শেপ চেহারা : এই আকারের চেহারার সাথে সবচেয়ে ভালো মানায় ক্লাসিক ওয়েফ্রেম, ব্রোলাইন, ওভাল, রাউন্ড ও এভিয়েটর। আর সবচেয়ে বেমানান লাগে ওভারসাইজড, রেকট্যাঙ্গেল, স্কয়ার ও জিওমেট্রিক। 
কেমন রোদচশমা চাই
সানগ্লাস কেনার সময় দামকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ অনেক ব্র্যান্ডের সানগ্লাসই ভালো সার্ভিসের কারণে নয়, বরং ফ্যাশনের কারণে খুব বেশি মূল্যের হয়ে থাকে। তাহলে জেনে নিন কী কী গুণ থাকতে হবে আপনার সানগ্লাসটির এবং কোন কোন ধরনের সানগ্লাস কেনা যাবে না ।
হ যেসব সানগ্লাসে লেখা থাকে ‘অ্যাবজবর্স ইউভি’, সে সব সানগ্লাস কেনা যাবে না। 
হ পোলারাইজড লেন্স তীব্র আলোতে চোখকে আরাম দ্রিলেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। 
হ শুধু গাঢ় রঙের সানগ্লাস মানেই যে ভালো সান প্রটেকশন, তা কিন্তু নয়। ক্লিয়ার, হলুদ, সবুজ, ধূসর, কালো, গোলাপি সব রঙের লেন্সেই ইউভি প্রটেকশন দেয়া যেতে পারে। 
হ বড় ফ্রেমের চশমা চোখকে ছোট ফ্রেমের চশমা থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তাই বড় ফ্রেমের রোদচশমাই বেছে নিতে চেষ্টা করুন।
হ যেসব রোদচশমায় লেখা থাকবে ১০০ শতাংশ ইউভি প্রটেকশন, শুধু সেগুলোই কেনা উচিত।
এত সুবিধার পাশাপাশি বোনাস হিসেবে সানগ্লাস আপনাকে দিচ্ছে স্টাইলিশ ও কুল একটি লুক এবং চোখকে দিচ্ছে আরামদায়ক অনুভূতি। তাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘরের বাইরে পা রাখতে হলে অবশ্যই সানগ্লাসকে সঙ্গী হিসেবে সাথে নিন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT