রোববার পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর পৃথক দুই এলাকা থেকে মধ্য বয়সী এক নারী ও এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে ঈশ্বরদীর লক্ষ্মিকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা-দাদাপুর কোল থেকে (১০) বছরের এক শিশুর মুখে ও মাথায় কস টেপ জড়ানো অর্ধগলিত উলঙ্গ লাশ ও সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া ঘোষপাড়ার নিচে পদ্মা নদীর কোলের কাশবন থেকে মস্তক বিহীন আনুমানিক (৩০) বছর বয়সী এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
লক্ষ্মিকুন্ডার বিলকেদা ও দাদাপুরের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম ও পল্লী পশু চিকিৎসক মিরাজ উদ্দিন জানান, শনিবার বিকেলে পদ্মানদীর স্রোতে একটি লাশ ভেসে আসে। লাশটি বিলকেদা ঘাটে আটকে থাকে। রোববার দুপুরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
তারা আরো জানান, সমস্ত মুখ ও মাথায় কস টেপ জড়ানো থাকা নিহত শিশুর লাশে পচন ধরে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুদ্দিন খান জানান, মাঝদিয়া ঘোষপাড়ার নিচে পদ্মানদীর কাশবনে নিহত নারীর লাশ আটকে যায়। এলাকাবাসী দূর্গন্ধ পেয়ে নিচে নেমে লাশটি দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই দিনে ঈশ্বরদীতে পদ্মানদীর পৃথক দুই স্থান থেকে নারী ও শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করায় পুরো এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত শিশুকে পরিকল্পিতভাবে মুখে ও মাথায় সাদা কসটেপ জড়িয়ে এবং নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ গুম করতে পদ্মানদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, পরিকল্পিত হত্যা নয়, ধারণা করা হচ্ছে লাশ দুটি বর্ষা মৌসুমে জোয়ার ভাটায় নদীতে ভেসে এসেছে। একটি লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ওয়ারিশ না পাওয়া গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হবে বলে জানান ওসি।
Leave a Reply