বরেন্দ্র নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিশরের প্রাচীনতম পিরামিড এটি। এর বয়স চার হাজার ৭০০ বছর। ফারাও রাজা জাসোর এই পিরামিডটি নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয়, খীষ্টপূর্ব ২৬৪৮ থেকে ২৬৬৭ সালের মধ্যেই এটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি, এই পিরামিডটির পুনর্নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এরপরই জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তা উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটিই পৃথিবীর একমাত্র স্টেপ (ধাপ আকারের) পিরামিড।
মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম জানিয়েছে, এই পিরামিডটি প্রায় চার হাজার ৭০০ বছরের পুরনো। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তকমা অর্জন করেছে এটি। দক্ষিণ কায়রোর মেমফিসে অবস্থিত এই পিরামিডটি। প্রাচীনকালের পাথর দিয়ে তৈরি এটি। এর ভেতরের দেয়াল পোড়ামাটি দ্বারা নকশাকৃত। বৃহস্পতিবার পিরামিডটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আল-আহরামের তথ্যানুযায়ী, জাসোর পিরামিডটি লম্বায় ৬৩ মিটার (২০৭ ফুট)। বিশ্বের একেবারেই আদি পিরামিড এটি। আধুনিক কায়রোর দক্ষিণে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান মেমফিসের রয়্যাল কেপিটালের বাইরে সাক্কারা ফুনারেল কমপ্লেক্সে অবস্থিত। জানা গেছে, প্রাচীন মিশরের তৃতীয় রাজবংশের দ্বিতীয় ফারাও রাজা জোসারের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। এই পিরামিডকে ঘিরে রয়েছে একটি দরবার হল ও কোর্ট।
জোসেরার মুখ্যমন্ত্রী ইমহোটেপ ছিলেন একজন বুদ্ধিজীবী এবং জ্যোতিষবিদ। ধারণা করা হয়, তিনিই এই পিরামিডের স্থপতি ও নকশাকারক। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পিরামিডের সংস্কার কার্য ২০০৬ সালে শুরু হয়েছিল। তবে ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মিশরের রাজনৈতিক অবস্থার টানাপোড়েনের কারণে তা বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে মিশরের রাষ্ট্রপতি হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১৩ সালে পুনরায় এর পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
আল-আহরামের তথ্যমতে, প্রাচীন স্থানটি এই পিরামিডটি যখন পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল তখন সেখানকার একটি সমাধি কক্ষ এবং করিডোর ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ছিল। ধ্বসে পড়ার মতো অবস্থা ছিল এর সিলিংগুলো। এরপর ভবনের দেয়াল থেকে রাবেলগুলোও (পাথরের ভাঙা অংশ) সরানো হয়। ১৭৬ টনের গ্রানাইট সারকোফাগাস উদ্ধার করা হয়। এটি প্রায় ১৭ মিটার (১৬ ফুট) দৈর্ঘ্যের।
পুনসংস্কারের অংশ হিসেবে এই পিরামিডে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এর সিঁড়িগুলোর সংস্কারের পাশাপাশি ভেতরের দেয়ালগুলোও নতুনের ন্যায় করা হয়েছে। মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রী খালেদ এল-এনানী বলেছেন, পিরামিডটি পুনসংস্কারের জন্য ১০৪ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড (৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার) ব্যয় করা হয়েছে।
সূত্র: সিএনএনট্রাভেল
ডেইলি বাংলাদেশ
Leave a Reply