নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির অনুমতি মিললেও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এখনও মিলেনি সে সুযোগ। এতে করে ভারতের মোহদীপুর স্থলবন্দরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় সাড়ে ৩ হাজার ট্রাক। তবে ৩ শতাধিক পিঁয়াজের ট্রাক নিয়ে বিপাকে সে দেশের ব্যবসায়ীরা।
ভারতের মহদীপুর সি এ্যান্ড এফ এজেন্ট সাধারন সম্পাদক ভ’পতি জানান, গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বন্দর দিয়ে আমদানী রপ্তানীর শুরুর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দেয়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন থাকায় অনুমতি মিলেনি।এতে করে মহদীপুর বন্দরে আগের ও সম্প্রতি আসা পাথরের ৩ হাজার ট্রাক সহ সমপ্রতি আসা পিয়াজের ৩শ এবং খৈল,ভুট্টা ও মরিচের ২শ ট্রাক আটকে পড়েছে। তিনি আরও জানান,২৯ এপ্রিল বুধবার ভারতের নর্থ ২৪ পরগনার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট স্বাক্ষরিত এ শর্তসাপেক্ষে আদেশ অনুযায়ী বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে ভারতের পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে পন্য আমদানী – রপ্তানীর অনুমতি মিললেও মহদীপুর দিয়ে অনুমতি এখনও মিলেনি।এতে করে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।বিশেষ করে কাঁচামালের ট্রাকগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে না পারায় স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। সকল প্রকার কাঁচামালের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে ছোলা, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম আকশ্মিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিমিটেড কোম্পানির অপারেশনাল ম্যানেজার কামাল উদ্দিন জানান, সোনামসজিদ বন্দর গত ৩ দিন থেকেই খোলা রয়েছে। পানামা কর্তৃপক্ষ আমদানি-রফতানি চালু হলে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সব সময় গাড়ি নিতে ও পণ্য খালাস করতে প্রস্তুত । গত ২৭ এপ্রিল সোমবার থেকে আমদানি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় কর্তপক্ষের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
Leave a Reply