এ বাশার চঞ্চল (নওগাঁ) রাণীনগর প্রতিনিধিঃ-নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার চকাদিন কদমতলী জামে মসজিদ একই কমিটি দিয়ে ২৭ বছর ধরে পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন একই কমিটি থাকায় মসজিদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে। ফলে মুসল্লিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলার চকাদীন কদমতলী গ্রামে প্রায় ৫০ বছর আগে জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়। ওই মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর গ্রামের মুরব্বীরা নেতৃত্ব দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন করেন। এরপর গত ২৭ বছর আগে গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আবদুল গফুরকে সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে সম্পাদক করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গঠনের পর থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোন কমিটি গঠন বা কমিটি পরিবর্তন করতে দেয়নি প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিরা। এ ছাড়া মসজিদের আয়/ব্যায়ের কোন হিসেবও মুসল্লিদেরকে দেয়া হচ্ছেনা। এমন প্রভাব ও আচরনের কারণে ইতোমধ্যে গ্রামে আরো দু’টি মসজিদ স্থাপিত হয়েছে। ফলে একই সমাজে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।মুসল্লি রুঞ্জু,আইয়ুব হোসেন,আব্দুল কাদের,জিয়াউর রহমান ও আবদুল মান্নানসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা কোন জন্মেও শুনিনি এক কমিটি ২৭ বছর ধরে দ্বায়ীত্ব পালন করে। তারা ঘরে বসে শুধুমাত্র কমিটির কিছু সদস্যের নাম পরিবর্তন ও অন্তর্ভূক্ত করে সভাপতি-সম্পাদক বহাল রেখে কমিটি গঠন করে। তবে কোন দিনও মসজিদে ঘোষনা দিয়ে কমিটি গঠন করেনি। তারা নিজেরা ইচ্ছেমত হিসেব না দিয়ে মসজিদ পরিচালনা করছে। ফলে গ্রামে আরো দুইটি মসজিন নির্মান করেছে মুসল্লিরা। এতে করে গ্রামে চরম উত্তেজান বিরাজ করছে। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে আমরা এর সুষ্ঠু বিহিত চাই। মসজিদ কমিটির সভাপতি/সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তবে মসজিদের ইমাম ও কমিটির অন্যমত সদস্য ফরিদ উদ্দীন বলেন,২৭ বছর নয়,প্রায় ১৫ বছর ধরে ওই কমিটি মসজিদ পরিচালনা করছেন। আমি নিজেও কমিটিতে আছি। বিনা বেতনে প্রায় ১৯ বছর ধরে ইমামতি করছি। এখানে কোন অনিয়ম নেই। এক শ্রেনীর ব্যক্তিরা মসজিদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ্য করতে নানান অভিযোগ তুলছেন।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সমাজে কমিটিকে কেন্দ্র করে যেন কোন আইন শৃংখলার অবনতি না হয় সে দিকে লক্ষ রেখে খোঁজ খবর নিয়ে শান্তির্পনূ সমাধান করা হবে।
Leave a Reply