সারোয়ার হোসেন,তানোর: উত্তরবঙ্গের মধ্যে ধান চাষের জন্যে প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে ধরা হয় তানোর উপজেলাকে। এ উপজেলায় যেমন ধান চাষ হয় তেমন আলু সহ বিভিন্ন চৈতালী ফসলও উৎপাদন হয় বাম্পার। তবে ধানের চাষ হয় একটু বেশি। বিশেষ করে বোরো ধান চাষ হয় সবচেয়ে বেশি।
এতে বোরো চাষের সময়টা শীতকালীন হওয়ায় হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের ভিতর বোরো চাষ করতে চরম কষ্ট পোহাতে হয় চাষিদের। ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত গরুর লাঙ্গল ও ট্রাক্টর দিয়ে বোরো জমি চাষের জন্যে হাল চাষ করা হয় এবং ভোর থেকে শীতল ঠান্ডা পানিতে নেমে বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করেন শ্রমিকরা। তার পরে দীর্ঘ ৩/৪মাস রোপণ কৃত বীজের পরিচর্যা করে বড় করে তোলা হয় ধান।
উপজেলার বিভিন্ন বোরো জমির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের কষ্টে অর্জিত বোরো ধানের শীষ বের হয়ে সবুজে ছেয়ে গেছে প্রতিটি ধানের মাঠ। আর ২০/২৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা মাড়াই। তানোর পৌর এলাকার গুবির পাড়া গ্রামের কৃষক আবু রহমান জানান,তিনি এবার ২০বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। ইতিমধ্যে সবগুলো ধানের শীষ বেরিয়ে পাক ধরতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবো।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সাথে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা। হেক্টর প্রতি ৭মেঃ টন করে ফলন ধরা হয়েছে। সব হিসেব করে ২৫ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ফলন হবে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৯০০ মেঃ টন। যা উপজেলার জনসাধারণের চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। তবে বোরো আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি বলে জানান।
সারোয়ার হোসেন
১৫ এপ্রিল /২০২১ইং
Leave a Reply