কুবি প্রতিনিধি, মাছুম বিল্লাহ,
দীর্ঘ ১৯ মাস পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফিরবে তার পুরোনো আমেজে, শিক্ষার্থীদের পদচারণে ফিরবে ক্যাস্পাসের প্রাণ।
গত ১৭ ই মার্চ ২০২০ বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারী কারনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
২ নভেম্বর ২০২১ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিন্ধান্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে তাদের বিশেষ অনুভূতি প্রকাশ করেছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান রাব্বি বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই খুশির সংবাদ। দীর্ঘদিন পর আবার ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করতে পারবো। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে একটু হলেও দূরে ছিল। ক্যাম্পাস খোলাতে পড়াশোনার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল- আমিন বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৯ মাস পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে যাচ্ছে এইটা নিশ্চয়ই খুব আনন্দের বিষয়। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস আবার মুখরিত হবে।পরিচিতদের সাথে অনেকদিন পর আবার দেখা হবে।সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে সহপাঠীদের সাথে আবার স্বশরীরে ক্লাসে ফিরতে পারবো যা করোনার জন্য সম্ভব হয়নি এতোদিন।
আরো বলেন, অনলাইনে শিক্ষা-কার্যক্রম চলমান থাকলেও তাতে শিক্ষার কোনো আমেজ ছিলো না বললেই চলে এবং অংশগ্রহণ ও তুলনামূলক কম ছিলো। ভার্সিটি খোলার পরে সে আমেজ আশা করি ফিরে আসবে। পড়াশোনা,হাসি আনন্দে এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে এতো দিন যে হতাশা কাজ করছিলো তা ক্রমান্বয়ে দূর হবে এবং সবাই সুন্দর এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবো বলে আশা করছি।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্তটি নেওয়ার জন্য। আশা করছি প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে প্লান তৈরি করে করোনাকালীন সময়ে আমরা যে-ই টুকু পিছিয়ে পড়েছি তা রিকোভার করবে।
আই,সি,টি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাঃ শুভ বলেন, ” বিগত করোণা কালীন মহামারী তে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক হুমকির মাঝে পড়ে।তারা পড়ালেখায় অনেক পিছিয়ে পড়ে, এবং মানসিক ভাবে কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এখন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলায়, শিক্ষার্থীদের জন্যে এটি অনেক বড় একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিচ্ছে। তারা তাদের পিছিয়ে পড়াকে কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
Leave a Reply