সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহী-১ ( তানোর – গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক শিল্পপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কুল হারা বগী নেতার মিথ্যাচারে ফুঁসে উঠেছে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। আগামী ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর এসময় একজন ক্লিন ইমেজের এমপিকে নিয়ে বেফাঁস খবর মানে তাকে হেয় প্রতিপন্ন সহ সম্মেলন বানচালের অন্যতম ষড়যন্ত্র করছেন জেলার নামধারী বিদ্রোহীদের ফাদার দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে নারায়ন হাতিয়ে নেওয়া নামধারী এক নেতার খায়েশ পুরনে এমন মিথ্যাচার বলে অভিমত। যিনি এক সময় কোর্ট চত্বরে দালালি করায় তার ছিল অন্যতম পেশা। সে এখন গাড়ীতে চড়ে ঘোরা আলিশান জীবন যাপন নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। ওই নেতার অন্যতম সহচর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাদের কে পুনরায় পদে বহাল রাখতে মরিয়া হয়েও কিনারা পাচ্ছেন না। তখনই এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার। ওই নেতাকে তৃনমুল নেতাকর্মী বলতে চায় আজ থেকে ২০ বছর আগে এদুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের কি অবস্থা ছিল, আর বর্তমানে আওয়ামী লীগের কি অবস্থা। যার অবদান এমপি ফারুক চৌধুরীর। তিনি দলে এসেছিলেন বলেই প্রতিটি ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ তৈরি করেছেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ জুলাই রাতে এমপি ফারুক চৌধুরীর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থিম ওমর প্লাজায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা কে নাকি এমপি ১৫ মিনিট ধরে নির্যাতন করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যবদি ফারুক চৌধুরী সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে বিতর্কিত করতে জেলার লক্ষিপুরের লক্ষি নেতা কখনো রাজাকার পুত্র, কখনো প্রেডম পার্টি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ফারুক চৌধুরী জমিদার বংশের ছেলে, শহীদ পরিবারের সন্তান , তার বাবা কে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক বাহিনী নির্মম ভাবে রাজশাহীর বাবলা বনে হত্যা করেন। যা বাবলা বন দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন আওয়ামী লীগ। আর তার আপন মামা জাতীয় চার নেতার অণ্যতম শহীদ এএইচ এম কামারুজ্জামানের হেনাসহ জাতীয় চার নেতাকে জেল খানায় ৩রা নভেম্বর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই রক্ত ফারুক চৌধুরীর গায়ে চলমান। যার প্রমান তিনি কখনো নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি।
একজন সংসদ কেন অধ্যক্ষকে নির্যাতন করবেন, এটা পাগলের প্রলোপ ছাড়া কিছুই না।
সুত্রে জানা যায়, যেহেতু আগামী ১৫ জুলাই তানোরে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলন হওয়া মানেই রাব্বানী মামুনের পদ হারাবে নিশ্চিত এতে কোন সন্দেহ নাই বলে মনে করছেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। মুলত একারনেই জেলার বগী ওই নেতার বানিজ্য হবে না। তার নাকি বিশাল স্বপ্ন রাব্বানীকে এমপি বানানো। এজন্য তাকে মেয়রের ভোট করতে দেন নি। কারন তাদের জিম্মি করে রাখতেই নানান পরিকল্পনা তার।তারই পরামর্শে রাব্বানীর আপন ভাই সাবেক যুবলীগ নেতা শরিফুল কে নৌকার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটের মাঠে নামান। পরে ইউপি ভোটেও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পুনরায় ভোটে নামিয়ে রাব্বানীকে পচিয়ে দেন। তবে যতই তিনি পরিকল্পনা করুক না কেন সম্মেলন হবেই হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। হাজারো তালবাহানা করে যখন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবেই হবেই। তখনই এমপিকে জড়িয়ে তাদের পকেটের সংবাদ কর্মীকে দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হচ্ছে।
দেশের এমন সংবাদ পত্রের তিল কে তাল বানিয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোই হচ্ছে। অথচ তারাই দেশের অন্যতম ভুমিগ্রাসী। কিন্তু এসব করে কোন লাভ নেই, ফারুক চৌধুরী ফারুক চৌধুরী। তিনি এমপি আছেন বলেই দুই উপজেলার আপামর জনসাধারণ স্বস্তি সহকারে জীবন যাপন করছেন।
এমপি ফারুক চৌধুরী যখন জেলা সভাপতি আর সম্পাদক ছিলেন আসাদ যার কথায় শুধুই শুধু মিথ্যার ফুলঝুরি। তিনি এমপির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে জেলার প্রতিটি উপজেলায় নিজের বলায় তৈরি করতে গিয়ে সবকিছুই হারিয়েছেন। তিনিতো রাজনীতি করেন না দলের নাম ভাঙিয়ে পেটনীতিতে বিশ্বাসী। কারন যত দ্বন্দ্ব লাগাতে পারবে তার ততই বানিজ্য বানিজ্য খেলা চলবে বলেও অভিমত।
শহরের এক সিনিয়র সংবাদ কর্মী জানান, যিনি এমপি বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন করেছেন কিসের বিনিময়ে, তিনি কি করে চলেন, কি ভাবে চাঁদাবাজি, মাদকের টাকা তুলেন সবাই জানে। আজ যারা নিজেদের কে কোনকিছু বলে জাহির করেন তাদের এত সম্পদ, এত টাকা গাড়ী বাড়ি কোথাই থেকে এলো, একবার নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি দুর্নীতি মুক্ত, নাকি মাদক মুক্ত, নাকি সৎ উপায়ে উপার্জন করছি। নিজের পাছায় পায়খানা রেখে অন্যের পাছা খোজা ঠিক না। আসাদ তো এমপির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, তার কাছে তো এমপির গীবত ছাড়া কিছুই নেই। মানুষ যানে ফারুক চৌধুরী কিভাবে দলকে চাঙ্গা করেছেন, আর আসাদ কিভাবে দলকে ধ্বংস করছেন। তিনি পদহারা তার অনুসারীদের পদ থাকবে এটাতো হতে পারে না। এজন্যই তিনি এসব করছেন নইলে আসবেনা নারায়ন। তার সকল ষড়যন্ত্র কৌশলে মোকাবিলা করেছেন এমপি। তিনি কখনো নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্হার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী যে আসায় ফারুক চৌধুরীকে দলে নিয়ে টিকিট দিয়েছেন, তার প্রতিদান ফারুক চৌধুরী দিতে সক্ষম হয়েছেন। তৃনমুলের ভাষা, ফারুক চৌধুরী এমন একজন এমপি যার দোয়ারে সবাইকে নির্বিঘ্নে কথা বলত দেখা যায় । তিনি দালালি মাস্তানী, টেন্ডার বাজি দখল বাজিদের প্রশ্রয় দেন না। তিনি তানোর গোদাগাড়ীর আওয়ামী লীগের একবড় নিয়ামত। ফারুক চৌধুরী একমাত্র নেতা যিনি দুই উপজেলা গ্রাম, পাড়া, মহল্লা এমনকি সকলের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তৈরি করেছেন। যারা তার বিরুদ্ধে বেফাঁস প্রতিবেদন তৈরি করেন তাদের কে অনুরোধ করব এমপি কার জমি দখল করল, এমপি কার সম্পদ লুট করল, এমপি কাকে অযথা মামলায় ফেলে ফকির বানিয়ে দিল, এমপি কার কথা শোনেন না, তিনি এলাকায় আসলে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও নানা সমস্যার কথা বলেন। তিনি সে কাজটি করেন যে কাজে কোন সমালোচনা নেই। একজন এমপি অধ্যক্ষকে ১৫ মিনিট ধরে লাথি, কিল, ঘুষি ও হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়েছন, তার তো মরে যাওয়ার কথা নইলে আইসিসিউতে থাকার কথা। এটা কল্পকাহিনি ছাড়া কিছুই না।
যে অধ্যক্ষকে ১৫ মিনিট নির্যাতন করেছেন সেই অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বলেন, আমরা এমপির কাছে গিয়েছিলাম ঈদ পরবর্তী দেখা ও কমিটির বিষয়ে। এসব কথা হতে কয়েক জন অধ্যক্ষ তর্কে জরিয়ে পড়লে এমপি নিজেই থামিয়ে দেন। আমরা খোশ মেজাজে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেছি। এমপি কেন আমাকে ১৫ মিনিট নির্যাতন করবে। তাহলে তো আমি মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে থাকতাম। ১৫ মিনিট নির্যাতন করলে সে স্বাভাবিক থাকতে পারেনা। যিনি আমাকে এবং এমপিকে নিয়ে যে বাজে খবর প্রকাশ হয়েছে সেই সংবাদ কর্মী পুলিশের গোয়েন্দা পরিচয়ে আমার বাসায় ঢুকে নানান ধরনের আজেবাজে প্রশ্ন ও ছবি তোলার চেষ্টা করেন। তবে তার কথাবার্তা স্বাভাবিক ছিল না। তিনি অস্বাভাবিক অবস্হায় ছিলেন। আমি তাকে তার সাথে কথা বলিনি, আর তিনি এমপি এবং আমাকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশ করলেন জেলার এক ভুঁইফোড় নেতার কথায়। আসলে ফারুক চৌধুরীর জনপ্রিয়তা, তার উন্নয়ন, তার সাংগঠনিক কর্মদক্ষতায়, তার সৌহার্দ্য সম্প্রীতির আচরণ সহ্য করতে না পেরে জেলার এক নেতা হতাশ হয়ে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেছেন । আমি এসব সংবাদ প্রকাশের জন্য সংবাদ কর্মীকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহবান করছি।
এদিকে ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যাপক ত্যাগি সর্বোদলীয় জগ, মগ, মটরসাইকেল হাতুর বাটাল, দ্বন্দ্বের নাটের গুরু আসাদ এমপির সুবিধা না পেয়ে তিনি এমপিকে দলের কাছে অসম্মানিত করতে উম্মাদ হয়ে পড়েছেন , ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের বিপরীত মত বাদের লোক তিনি শুধু অধ্যক্ষ না একাধিক সরকারি কর্মকর্তাকে মেরেছেন বলে জানান যা ডাহা মিথ্যা । তার দিনরাত একটাই কাজ এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো। কারন এমপি একের পর এক চমকের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না বগী কালপিটের। তিনি মান্দার ভারশোঁ ইউপিতে সরকারি আইন অমান্য করে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছেন। তিনি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুর করে দুই উপজেলার প্রতিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে দলে চরম বিভেদ সৃষ্টি করেছেন, যা দৃশ্যমান। তিনি যদি দলকে এতো ভালোবাসেন তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান নেয় কেন। তিনি এতো দলের নিবেদিত প্রান তাহলে পদ নেই কেন। খালি কলসি বাজে বেশি বলেও একাধিক অভিযোগ । ফারুক চৌধুরী একমাত্র এমপি যিনি দুই উপজেলার প্রায় সব কয়টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করেছেন যা ইতিহাস। তবে এসব দলের ক্ষতিকর নামধারী নেতাদের কোন পদ পদবি দেওয়া ঠিক না। তানোর আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব বিভেদের মুলেই তিনি।
তবে যতই ষড়যন্ত্র হোক সম্মেলন সফল হবে বলে দৃড় প্রত্যায় ব্যক্ত করেন এবং বুধবার জেলা সভাপতি, সম্পাদক ও সংসদসহ নেতৃবৃন্দ গোল্লাপাড়া মাঠে সম্মেলন স্হল পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply