সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানের অভিযানের ফলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা অসঙ্গতি বেরিয়ে আসছে। অন্যরা যেখানে প্রচার পেতে ব্যস্ত তখন প্রচারবিমূখ এই কর্মকর্তা নিরবে-নিভৃতে আপন গতিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। তানোরে এক সময় সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল না কোনো শৃঙ্খলা। শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো আশা-যাওয়া করতেন। অধিকাংশক্ষেত্রে
কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্কুল সময় হলেও দুপুরের পর স্কুল বন্ধ নিয়মে পরিনত হয়েছিল। তবে এখন তা সুদূর অতীত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৪টি কলেজ, ৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে। বিগত ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর সিদ্দিকুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এদিকে তিনি যোগদানের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্কুল সময় মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন। প্রতিদিন তিনি আকর্ষিকভাবে কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও হাজিরা খাতার সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখেন। এতে শিক্ষকদের স্কুল ফাঁকির প্রবণতা দুর হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিও)
বেতন-ভাতা উত্তোলনে বেতনসীট শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া বাধ্যতামুলক করেছেন। এতে অনেক অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ হয়েছে। বিশেষ করে বেতনসীট জমার বাধ্যবাধকতা না থাকায়। একটা সময় মৃত শিক্ষক-কর্মচারী বা এক প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিলেও এমপিও সীট থেকে তাদের নাম কর্তন করা হতো না। ফলে তাদের নামে বেতন আশা সাধারণ ঘটনা ছিল। তবে সেটা দুর হয়েছে। ইতমধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও সীট থেকে নাম কর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে সরকারের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আগামিতে তানোরে শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।
Leave a Reply