মোস্তাফিজুর, নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের নলডাঙ্গার সোনাপাতিল মহিলা কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম (আজাদ) কে পেটালেন কলেজের জোষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালাম। পরে আহত হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদ কে উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সালাম পালিয়ে যাওয়ার সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন।পরে ঘটনা কি জানতে চাইলে ঊল্টো নিজের দোষ ঢাকতে ওই শিক্ষক হঠাৎ ফেসবুকে লাইভ চালু করে বলেন,আমি শিক্ষক আমি সাংবাদিক আমি বাচঁতে চাই। এ ধরনের মিথ্যা ভীতিকর কথা বলে বিশ্ঙখলা ও আতংক সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ করে কলেজ কৃর্তপক্ষ।পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়,বুধবার দুপুরে আকতার নামের এক ব্যাক্তি উপজেলার সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদের অফিস কক্ষে বসে কথা বলে চলে যায়।পরে ওই কলেজের ভূগোল বিষয়ের জোষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালাম আকতার নামের ওই ব্যাক্তিকে কেন বসতে দেওয়া হল বলেই হিসাবরক্ষক আজাদ কে এলোপাতারি মারধর শুরু করে।মারধরের এক পর্যায়ে হিসাবরক্ষক আজাদ মাটিতে লুটে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।পরে কলেজের অন্য ষ্টাফরা এসে তাকে উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতালে নিয়ে যায়।এ ঘটনা ঘটিয়ে প্রভাষক আব্দুস সালাম পালানোর চেষ্টা করলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুর আলম তাকে অফিস কক্ষে ডেকে ঘটনা কি জানতে চান।পরে অভিযুক্ত প্রভাষক আব্দুস সালাম নিজের দোষ ঢাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ চালু করে মিথ্যা ভীতিকর তথ্য দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আহত হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদ বলেন,আমি আমার অফিস কক্ষে বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম।এসময় আকতার নামের এক ব্যাক্তি এসে আমার সামনের চেয়ারে বসেন।কিছুক্ষন বসে আবার চলে যান।এর পর কলেজের ভূগোল শিক্ষক আব্দুস সালাম স্যার এসে আকতার কেন আসলো বলেই আমাকে কিল ঘুষি দিয়ে এলোপাতারী মারধর শুরু করে।একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটে পড়ে অজ্ঞান হয়ে পরি।অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে কলেজের অন্য ষ্টাফরা এসে আমাকে উদ্ধার করে।আমাকে কেন মারধর করা হল আমি জানি না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কলেজের জোষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুর আলম বলেন,আমি ঘটনা শুনে দ্রæত হিসাব রক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদের অফিস কক্ষে গিয়ে দেখি প্রভাষক আব্দুস সালাম হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদকে মারধর করছে।এমনভাবে মারধর করছিল আজাদ মাটিতে পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।আমি প্রভাষক আব্দুস সালাম কে সেখান থেকে ছাড়িয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে আসি।তিনি অফিস কক্ষে না এসে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।পরে কলেজের ষ্টাফদের সহযোগিতায় প্রভাষক আব্দুস সালাম কে অফিস কক্ষে আনা হয়।ঘটনা কি জানতে চাইলে নিজের দোষ ঢাকতে ফেসবুক লাইভে এসে উল্টাপাল্টা ভীতিকর মিথ্যা তথ্য দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।আমি বাধ্য হয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজে শিক্ষক ও হিসাবরক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply