– ফাইল ছবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষক ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউটের জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী।
এর আগে সান্ধ্য কোর্সের কয়েক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর অভিযুক্ত শিক্ষককে ওই ব্যাচের কার্যক্রম থেকেও অব্যহতি দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন আইইআর পরিচালক বরাবর চতুর্থ এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে একই অভিযোগ আনেন। পরে ২৭ জুন এই ব্যাপারে লিখিত দেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ জুন অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি ও পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে কমিটি গঠন করা হয়।
পরে গত ২৮ জুন শুক্রবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে অভিযোগকারী ছাত্রীদের চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় পৃথক দুটি জিডি করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের সবোর্চ্চ শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করে আইইআরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার আইইআরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও বিষ্ণুকুমার অধিকারীর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন পত্র দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারী বলেন, অফিসিয়ালি এখনও জানানো হয় নি। চিঠি পেলে জানতে পারব বলে জানান তিনি।
আইইআরের পরিচালক আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক যেন ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীদের রেজাল্ট, ক্লাস-পরীক্ষায় প্রভাব ফেলতে না পারে, তার জন্য একাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply