আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি হোটেলের সামনে অনেক দিন ধরে বিনামূুল্যে কুরআন বিতরণ করছিলেন একজন মু’সলিম তরুণী।
জার্মানির কয়েকটি ফেসবুুক পেজে এ ছবিটি শেয়ার করার পর ভাইরাল হয়েছিলো ২০১২ সালে। তরুণীর নাম জোহরা। তিনি জার্মানি ভাষায় কুরআন অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। তারপর সেটি বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করেন।
জামানির ইউনিসিও নামের একটি ফেসবুক পেজ জানায়। তিনি প্রতি সপ্তাহের একদিন কুরআন বিতরণ করতে জার্মানির এ হোটেলটির সামনে আসেন। বিনামূল্যে করআন বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জার্মানির ১৬টি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে “মেডিয়েনডিনস্ট ইন্টেগ্রাৎসিয়ন৷” তারা দেখেছে, এ দেশের ৮০০ স্কুলে এ মুহূর্তে মোট ৫৪ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ইস’লাম ধ’র্ম পড়ছে৷
দু’বছর আগে যেখানে ৪২ হাজার শিক্ষার্থী এ সুযোগ পেত, সেই তুলনায় ১২ হাজার অন্তত বেড়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ‘মেডিয়েনডিনস্ট ইন্টেগ্রাৎসিয়ন৷’ তবে তারা মনে করে, আরো অন্তত দশগুণ শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও স্কুলে ইস’লাম ধ’র্ম পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না৷
জার্মানির অ’ভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিএএমএফ ২০০৮ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল৷ ‘জার্মানিতে মু’সলমানদের জীবন’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগে জার্মানিতে অন্তত ৫ লক্ষ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ইস’লাম ধ’র্ম অধ্যয়নে আগ্রহী ছিল৷
বর্তমানে জার্মানের অনেক প্রাথমিক স্কুলেই ইস’লাম ধ’র্ম পড়ানো হচ্ছে। তবে সব স্কুলে ইস’লাম ধ’র্ম পড়ানো শুরু করা খুব সহ’জ কাজ নয়৷
প্রথমত, ইস’লাম ধ’র্ম পড়ানোর মতো শিক্ষক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম৷ আবার কোনো শ্রেণিতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী ধ’র্মীয় এ বিষয়টি পড়তে আগ্রহী না হলে এবং সেই আগ্রহের কথা তারা লিখিতভাবে না জানালে কোনো স্কুলের এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার সুযোগও নেই৷
Leave a Reply