নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ জানুয়ারি সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পৌর এলাকার ডা. আ. ম. মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল ম্যাচের খেলা চলার সময় জেলার সাংবাদিকরা সংবাদ ও ফুটেজ সংগ্রহর সময় পা ম্যাচের সীমানা রেখার দুই/এক কদম ভেতরে চলে যাওয়ায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্য রাকিব উদ্দীন বাবু অসৌজন্যমূলক আচরণ, অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও একপর্যায়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমকে। পরে মাঠে সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজেদুল হক সাজু সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি জানার জন্য গেলে রাকিব তাঁর সাথেও খারাপ ব্যবহার করে।
শেষে উপস্থিত সাংবাদিকগণ অপমানের প্রতিবাদ হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল ম্যাচের খেলার সংবাদ বর্জন করে চলে আসেন। পরে রাত ৮টার দিকে সদর মডেল থানায় সাংবাদিকবৃন্দ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এ সময় জেলার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হুমকিদাতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্য পৌর এলাকার গাবতলা মোড়ের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রাকিব উদ্দীন বাবু।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান পিপিএম জানান, ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দের ঝামেলার ব্যাপারে শুনেছি, দেখেছি। রাতে সাংবাদিকবৃন্দ জিডি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জিডি নং-১০১৪।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, ডা. আ. ম. মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল ম্যাচের খেলা চলার সময় জেলার সাংবাদিকরা সংবাদ ও ফুটেজ সংগ্রহর সময় পা ম্যাচের সীমানা রেখার দুই/এক কদম ভেতরে চলে যায়। জেলা ফুটবল দলের কোচ ও খেলার লাইন্সম্যানকে অবহিতের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম ও কোষাধ্যক্ষ্য মো. মনোয়ার হোসেন জুয়েল প্রথমে জয়পুরহাট জেলা ফুটবল দল, তারপর প্রধান অতিথিসহ অন্যদের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা দলের ফুটেজ সংগ্রহের সময় ফুটবল কোচ ও খেলার সহকারী রেফারী (লাইন্সম্যান) কে অবহিত করে ফুটেজ ধারণের কাজ শুরু করে দুজন সাংবাদিক। এ সময় একজনের পা ম্যাচের সীমানা রেখার দুই/এক কদম ভেতরে চলে যায়।
এ নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্য রাকিব উদ্দীন বাবু ও তার বাম পাশে বসে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি সে সাংবাদিকের সাথে অত্যান্ত অশালীন ভাষায় সেখান থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেন। এ সময় রাকিব উদ্দীন বাবুকে ১০/১৫ সেকেন্ড দাঁড়ানোর জন্য তাদেও অনুরোধ করেন সাংবাদিক। পরে ফুটেজ সংগ্রহ শেষে চলে আসার সময় রাকিব অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। উপস্থিত অনেকেই এ সময় প্রতিবাদ জানান।
মাঠে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ নিজ নিজ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম ও সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজেদুল হক সাজু সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি জানার জন্য রাকিব উদ্দীন বাবুর কাছে গেলে তিনি তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অশ্লীল কথাবার্তা বলে। এক পর্যায়ে রাকিব মারার উদ্যেশ্যে তেড়ে আসলে উপস্থিত অন্যরা তাকে নিবৃত করে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকগণ অপমানের প্রতিবাদ হিসেবে সংবাদ বর্জন করে চলে আসেন।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম স্থানীয় ক্লাব সুপার মার্কেটের সামনে বন্ধুসহ বসে চা পান করছিলেন। এ সময় রাকিব উদ্দিন মোটরসাইকেলে আরো এক আরোহীসহ এসে তার সামনে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে তাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি ও একপর্যায়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। -কপোত নবী।
Leave a Reply