ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি // ঠাকুরগাঁওয়র নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করে প্রতি নিয়ত স্থান পরিবর্তন করে চলছে ভ্রাম্মমান কোচিং বানিজ্য।
বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নিস্চিন্তপুর পানির টাঙ্কি এলাকায় সরোজমিনে দেখা যায় ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে বারির বারান্দায় বসিয়ে ৮ম, ৯ম ও এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের পরাতে দেখা যায়। সে সংবাদকর্মী আচ করতে পেরে কোচিং বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে সুজন আলি নামে একজন তার খালার বারি পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্মমান কোচিং চালাচ্ছে সে এর আগে অন্য স্থানে কোচিং চালাতো জানা যায় ।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ঠাকুরগাঁওয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য। সরকার এ ব্যাপারে নীতিমালা প্রনয়ন করলেও কার্যত বন্ধ হচ্ছেনা কোচিং কার্যক্রম। উপরন্তু ধরণ পাল্টে জেলার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ফ্লাট বাসায় নির্বেঘ্নে চলছে কোচিং বাণিজ্য। ২০১২ সালে সরকার দেশে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে।
সরকারি নির্দেশ কার্যকরে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারি এরিয়ে এক ভ্রাম্মমান কোচিংয়ের খবরো মিলেছ জেলায় । তবে কোচিং প্রতিষ্ঠানের সামনে নেই কোনো সাইনবোর্ড। মনকড়া সব প্রসপ্রেক্টার্সও নেই। ফলে বাহিরে থেকে কোচিং সেন্টারগুলো চেনার কোনো উপায় থাকেনা।
জানাগেছে, নিয়ন্ত্রণ বা জবাবদিহীতা না থাকায় এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা হয়না কোনো নিয়মনীতি। ফলে অদক্ষ এবং অযোগ্য লোকদের দিয়েই চলছে এই সব কোচিং সেন্টার। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক বিষয়টিকে মাথায় রেখেই চলছে এই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা ঠিকই এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাধ্য হয়েই প্রাইভেট পড়ে।
Leave a Reply