অনলাইন ডেস্ক:
আজ মঙ্গলবার ভোরে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাপস পাল নার্ভের রোগ ও অনিদ্রাজনিত রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক এই সাংসদের বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
এনডিটিভি জানায়, কন্যাকে দেখতে মুম্বাই গিয়েছিলেন তাপস। সেখান থেকে কলকাতায় ফেরার সময় মুম্বাই বিমানবন্দরে বুকে ব্যাথা অনুভব করার কথা জানালে তাকে জুহুর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে ভোররাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৯ সালে ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে কৃষ্ণনগরে সংসদ সদস্য (এমপি) হন তিনি। তবে ২০১৬ সালের শেষের দিকে রোজ ভ্যালি নামে একটি চিট ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। ‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির জন্য তাকে আজীবন মনে রাখবে বাংলার দর্শকমহল। ওই ছবিতে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপসের যুগলবন্দী রীতিমতো কাঁদিয়েছিল সবাইকে।
‘মায়া মমতা’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘সমাপ্তি’, ‘চোখের আলো’, ‘অন্তরঙ্গ’, ‘সাহেব’র মত বহু বিখ্যাত বাংলা সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন তাপস। ১৯৮১ সালে ‘সাহেব’র জন্য তিনি পান ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। বাংলার মতো বলিউডের ছবিতেও কাজ করছেন তাপস পাল। ‘অবোধ’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে দেখা যায় তাকে।
তথ্যসূত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ
Great content! Super high-quality! Keep it up! 🙂