এ আই রবি, রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাঘায় দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে দুই বন্ধুর সহায়তায় ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর (১৬) সাথে উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে পলাশ উদ্দিন (২২) নামের যুবকের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের কারনে কৌশলে তাকে দুড়দুড়িয়া এলাকা থেকে মাইক্রোতে করে তুলে আনা হয় বাঘা মঞ্জু ডায়াবেটিক সেন্টারে।
সেখানে নাইট গার্ড নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় ধর্ষণ করে তাকে রেখে পালিয়ে যায় পলাশ। পরে মেয়ে থানায় গিয়ে নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর বাঘা মঞ্জু ডায়াবেটিক সেন্টারের নাইট গার্ড নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাসির উদ্দিন উপজেলার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। নাসির উদ্দিনকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে ও ধর্ষিতাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতা এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন থেকে পলাশের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। পরিবারের চাপে ১০ জানুয়ারী অন্য ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দেয়। কিন্তু পলাশের কারনে আমাকে স্বামীর পরিবার থেকে অত্যাচারীত হতে হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কৌশলে আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বন্ধুর সহায়তায় ধর্ষণ করে আমাকে রেখে পালিয়ে যায়। আমি নিরুপায় হয়ে থানায় এসে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে মূল আসামীকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে
Leave a Reply