মোঃ মশিয়ার রহমান,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় শীত উপেক্ষা করে ইরি ধানের চারা বিক্রির ধুম লেগেছে।এরকমই ঘটনার চিত্র দেখা গেছে উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে।ধানের চারা বিক্রেতা মহিরুদ্দিন (৫০) ও সাদিকুল ইসলামের (৩৫) কাছে জানতে চাইলে এবার কি ধরনের চারা বিক্রি হচ্ছে,তারা জানান, বারোশো পাঁচ,হির-টু,এসিআই টু,জনরাজ,বিশ,আটাশ,উনএিশ,এ ধরনের চারা গুলোই বিক্রি হচ্ছে এবার।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জনরাজ জাতের ধানের চারা।জনরাজ জাতের চারা বেশি বিক্রি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মোঃ সাদিকুল ইসলাম বলেন এ ধরনের বীজ রোপন করলে লাগানোর ৬০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ধান কাটা যায় এবং পরবর্তীতে অন্য ফসল জমিতে ফলানো যায়।এবার ডাউয়াবারী ইউনিয়ন নেকবক্ত থেকে ধানের চারা কিনতে আসা মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম( ৪৫) জানান,এবারের ধানের চারার দাম অনেক বেশি পার আটি কিনতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা করে।এবার আমি নিজেও ধানের বীজ রোপন করেছিলাম কিন্তু অধিক কুয়াশার জন্য ধানের বীজ ভাল হয় নাই তাই বাধ্য হয়ে ধানের চারা কিনতে হচ্ছে।ধানের চারার দাম কম হোক আর বেশি হোক কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান রোপন থেকে আর বিরত থাকেন নি। ইরি ধান রোপনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ইরি জমিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে এখন চলছে ইরি ধানের চারা রোপনের মহোৎসব। উপজেলার কৃষকদের কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, অনেকে জলঢাকা বাজার সহ আসে পাশের বাজার থেকে চারা কিনে রোপন করছেন। আগাম চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন। খেত প্রস্তুত করার লক্ষ্যে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে কৃষকদের।স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিসে জনবল বৃদ্ধি করে কৃষি চাষে আরও বেশি সেবা দিতে।কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমি প্রস্তুত। ধানের চারা জমিতে রোপনের জন্য।ইরি ধানের ফসলটি ভালো হলে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারব। তাই যত্নসহকারে জমি তৈরি করছি।
Leave a Reply