শফিকুল ইসলাম: বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তরমুজের প্রচুর চাষ হয়ে থাকে। চৌত্র বৈশাখ মাসে সেই দেশীয় তরমুজের স্বাদই আলাদা । এ বছর বসন্তের শুরুতেই বিভিন্ন হাট-বাজারে তরমুজ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখনো প্রকৃতিতে শীতের আমেজ থাকায় দাম ও বিক্রি দুটিই কম বলে জানিয়েছেন হতাশ তরমুজ বিক্রেতারা। এদিকে, আগাম জাতের তরমুজ চাষিদের কাছ থেকে কিনে আড়তে এনে রেখে লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, উত্তারাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ জমিতে তরমুজের চাষ হয়ে থাকে। গরমকালের তরমুজ এখনো বাজারে আসেনি, সেগুলো মিলবে আরো দেড় মাস পর গ্রীষ্মকাল শুরু হলে। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রানিহাটি, শিবগঞ্জ, কনসার্ট, গোমস্তাপুর, মল্লিকপুর, নাচোল, সোনাইচন্ডি, রহনপুর রেলস্টেশন ও কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। রাজশাহীর সাহেব বাজার পাইকারী আড়ত থেকে তরমুজ কিনে এ অঞ্চলের আড়তদাররা খুচরা বাজারে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। খুচরায় প্রতি কেজি ৫০ টাকা দর হাঁকা হচ্ছে এসব তরমুজের। গতকাল রোববার বিকালে বাজার থেকে তরমুজ কিনছিলেন খন্দকার আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘বসন্ত শুরু হলেও এখনো শীত পড়ছে। এজন্য তরমুজ খাওয়া হচ্ছে না। তবে মেয়ে তরমুজ খুব পছন্দ করে বলে কিনলাম।থ বিক্রেতা মনি বলেন, ‘অন্য বছরের চেয়ে অনেক আগেই এবার বাজারে তরমুজ এসেছে। আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন অনেক চাষি। আমরাও লাভের আশায় পাইকারী কিনে খুচরা বিক্রি করছি।থ তবে শীত থাকায় বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে। গরম পড়লে তরমুজ বিক্রি জমবে বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, আগাম জাতের কালা, আনারকলি, অলক্লিন, চায়না-২, এশিয়ান-২, বালিসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলে গরম বেশি পড়ায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তবে এবার আবহাওয়া অন্যরকম থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে উল্লেখ করেন।
Leave a Reply