জুনাইদ কবির , বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুর: রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে. এম. তারিকুল ইসলাম বিভাগের বর্তমান করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এবার ঈদে নতুন পোশাক ক্রয় না করে সেই টাকা দিয়ে গরিব দুঃখিদের চাল কিনে দেওয়ার আহŸান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকালে রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ আহŸান করেন তিনি।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে. এম. তারিকুল ইসলাম সকলকে ঘরে থেকে ঈদ উদযাপন করার আহŸান জানিয়ে বলেন, আমাদের যে পুরাতন পোশাক আছে সে গুলি পরিস্কার ও ইস্ত্রি করে নতুন বলে গণ্য করে সেই কাপড় পরে ঈদ উদযাপন করার অনুরোধ করেন ।
তিনি বলেন, একটা ঈদে নতুন কাপড় না পড়ে ঈদ উদযাপন করলে অঙ্গহানী হবে না। সচরাচর আমরা ঈদে নতুন জামা পড়ে ঘুরতে যাই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সুযোগটি সীমিত। তাই তিনি নতুন কাপড় ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে ও গরিব দুঃখিদের সেই অর্থ দিয়ে চাল কিনে দেওয়ার আহŸান জানান ।
এসময় তিনি রংপুর বিভাগের গত ১৩ মে পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি, বিভাগে বরাদ্দকৃত ত্রাণ, নগদ অর্থ বিতরণ, মজুদ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সেই সাথে তিনি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান সকলকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর বিভাগের প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিলু ও জুনাইদ কবির।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে. এম. তারিকুল ইসলাম জানান, গতকাল ১৩ মে পর্যন্ত বিভাগে ৩৮০জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে আজকে এখন পর্যন্ত ২৪ জন রোগীর মত ভর্তি আছেন। ৩৮০ জনের মধ্যে শতাধিক রোগী সুস্থ হয়ে গেছে।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাস পরিক্ষার জন্য যে ল্যাব আছে এই ল্যাব আরও বাড়ানো দরকার ও ল্যাব গুলোতে নতুন মেশিন স্থাপন করা দরকার।
কে. এম. তারিকুল ইসলাম জানান, চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য গত ১২ মে বিভাগের প্রত্যেক জেলাতে আমরা নতুন ডাক্তার পেয়েছি। তাদের মধ্যে রংপুর জেলাতে ৩৩ জন, দিনাজপুর জেলায় ১৯ জন, গাইবান্ধায় ৮ জন, লালমনিরহাটে ১২ জন, কুড়িগ্রামে ১১ জন, নীলফামারীতে ৯ জন, পঞ্চগড়ে ১০ জন ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫ জন মোট ১১৭ জন নতুন ডাক্তার আমরা পেয়েছি। এরা সবাই করোনা ডেডিকেট হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা প্রদান করবেন।
তিনি আরও জানান, গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৯ টি পরিবারের মধ্যে ১৪ হাজার ১২০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে। নগদ অর্থ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহ বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের বাজার ক্রয় করে প্রদান করা হয়েছে।
বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। ৮ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকার মধ্যে
নগদ অর্থ রংপুর বিভাগে মজুদ আছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪১০ টাকা ।
সিংক: কে. এম. তারিকুল ইসলাম-বিভাগীয় কমিশনার রংপুর।
Leave a Reply