মোঃ আল আমিন ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা, নরায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের পর করোনা সংক্রমণের দিক দিয়ে দেশে নতুন হটস্পট এখন চট্টগ্রাম। প্রতিদিন আশংকাজনক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মতো হতে পারে বলে শংকা চিকিৎসকদের। করোনার গতি প্রকৃতি ক্রমাগত পাল্টানোয় উদ্বিগ্ন তারা।
চট্টগ্রামে গেল ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর, এক মাসে অথ্যাৎ ৪ মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৬ জনের।
এরপর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পরের ১২ দিনে আক্রান্ত হয় ৭ শতাধিক। মৃত্যু হয় আরও ২৫ জনের।
১০ মে- নতুন আক্রান্ত ১৩ জন। মোট আক্রান্ত-২১৯ জন। নতুন মৃত্যু-৩, মোট মৃত্যু-১৮ জন।
১১ মে- নতুন আক্রান্ত ৪৯ জন, মোট আক্রান্ত ২৬৮ জন। নতুন মৃত্যু-১ জন, মোট মৃত্যু-১৯ জন।
১২ মে- নতুন আক্রান্ত ৬৪ জন, মোট আক্রান্ত ৩৩২ জন। নতুন মৃত্যু-২ জন, মোট মৃত্যু-২১ জন।
১৩ মে- নতুন আক্রান্ত ৮৫ জন, মোট আক্রান্ত ৪১৭ জন। নতুন মৃত্যু-২ জন, মোট মৃত্যু-২৩ জন।
১৪ মে- নতুন আক্রান্ত ৯৫ জন, মোট আক্রান্ত ৫১২ জন। নতুন মৃত্যু-৪ জন, মোট মৃত্যু-২৭ জন।
১৫ মে- নতুন আক্রান্ত ৬১ জন। মোট আক্রান্ত ৫৭৩ জন। নতুন মৃত্যু-৩ জন, মোট মৃত্যু ৩০জন।
১৬ মে-নতুন আক্রান্ত ৬৮ জন। মোট আক্রান্ত ৬৪১ জন। নতুন মৃত্যু- ২জন, মোট মৃত্যু – ৩২ জন।
আক্রান্তের ৮০ শতাংশই চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা। এলাকা ভিত্তিক সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়েছে নগরীর দামপাড়া, পাহাড়তলী, সাগরিকা, কাট্টলী এবং সাতকানিয়া উপজেলা। সংক্রমন এবং মৃত্যু বৃদ্ধির জন্য মানুষের সচেতনতার অভাব এবং অবাধ চলাচলকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।
আগামী ১৫ দিনে আক্রান্তের দিক থেকে নারায়ণগঞ্জ ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে চট্টগ্রাম, এমনই শংকা চিকিৎসকদের।
Leave a Reply