স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান:
সুন্দরবনের করমজলে দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রে ।আজ ২৯ মে শুক্রবার করমজলের কুমির জুলিয়েট ৫২টি ডিম পেড়েছে এর মধ্যে ১৪ টা ডিম তার নিজের বাসায় রাখা হয়েছে বাকি ডিম গুলির মধ্যে ২৬ টি ডিম পুরাতন ইনকিউবেটরে সেট করা হয় এবং বাকি ১২ টা ডিম নতুন ইনকিউবেটর সেট করা হয়। ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই পরিবারে নুতন মুখের আগমন ঘটতে পারে । ।এছাড়া কয়েকদিন পরে পিলপিল থেকে ডিম পাওয়া যাবে বলে জানান করমজল বনপ্রাণী প্রজানন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআজাদ কবির।
তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার করমজলের কুমির জুলিয়েট পরিবারে নতুন অতিথি আসবে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা।
করমজল বনপ্রাণী পপ্রজানন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআজাদ কবির বলেন এক সময় বাংলাদেশে লবণ পানির কুমির, মিঠা পানির কুমির ও ঘড়িয়াল এই তিন প্রজাতির কুমিরের অস্তিত্ব ছিল। এর মধ্যে মিঠা পানির কুমির ও ঘড়িয়াল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শুধু লবণ পানির কুমিরই কোনোভাবে টিকে আছে। তাই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির লোনা পানি প্রজাতির কুমির রক্ষায় পদক্ষেপ নেয় বন বিভাগ। দেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির নোনা পানির কুমিরের প্রজনন, বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ২০০২ সালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি।
বন বিভাগের বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি। শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট-বড় পাঁচটি কুমির দিয়ে কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে লোনা পানি প্রজাতির দুটি স্ত্রী কুমির জুলিয়েট, পিলপিল ও একটি পুরুষ কুমির রোমিওসহ বড় ৬টি ও ছোট ১৯৫ টি কুমির রয়েছে। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া কুমিরগুলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, পটুয়াখালী বন বিভাগ ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়। লোনা পানির কুমির সাধারণত ৬০-৬৫ বছর পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। আর বেঁচে থাকে ৮০-১০০ বছর পর্যন্ত।
Leave a Reply