বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
করোনায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। আক্রান্তও হচ্ছে দেদারছে। মরণঘাতি এ ভাইরাস যেনো পিছু ছাড়ছে না। সংক্রমণ আটকাতে গোটা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও চলছে অঘোষিত লকডাউন। অনেকেই ভাবছেন লকডাউন কবে শেষ হবে, তাহলে হাঁফ ছেড়ে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন তারা। আবার অনেকেই লকডাউন শেষ হলেই কী করবেন তা ইতোমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন।
কিন্তু মনে রাখবেন, লকডাউন শেষ হওয়ার অর্থ এই নয় যে সবকিছু ঠিক ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যদি ভেবে থাকেন তাহলে বড় ভুল করছেন। হয়তো নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। লকডাউন উঠে গেলেও নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য যতদিন পর্যন্ত এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কয়েকটি বিষয়ের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন : লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও শারীরিক দূরত্ব সকলকেই মেনে চলতে হবে। হাট-বাজার থেকে শুরু করে সমস্ত জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের। এটি না মানলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও।
পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকুন : লকডাউন উঠে যাবার পরে নিজের বাড়ির অনুষ্ঠান বন্ধ রাখুন। পাশাপাশি অন্যের বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করুন। বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো পার্টি বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান একেবারেই করবেন না। পরিবারকে সুস্থ রাখতে এটি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন।
হাত ধোওয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন : এখন যে অভ্যাসে আপনি অভ্যস্ত, সেই হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাসটি লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও চালিয়ে যাবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলতে হবে সবাইকে।
মাস্ক ব্যবহার ত্যাগ করবেন না : নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির বাইরে পা দিলেই অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। জনবহুল এলাকায় মাস্ক ছাড়া যাবেন না। আপনি যদি সর্দি বা কাশি-তে ভোগেন তবে মাস্ক পরে থাকুন। বাড়ির অসুস্থ রোগীর কাছে গেলে মাস্ক পরে যাবেন। হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন।
বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না : শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। তাই লকডাউন ওঠা মাত্রই পরিবারকে নিয়ে বাইরে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করবেন না। নিজেকে সুস্থ রাখতে বাইরে বেরোনোর থেকে বাড়ির লোকের সঙ্গে বাড়িতেই নতুন কিছু পরিকল্পনার মাধ্যমে ছুটি কাটান।
পার্ক ও সিনেমা হল এড়িয়ে চলুন : লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে বাচ্চাকে নিয়ে পার্কে যাবেন না। পাশাপাশি কয়েক মাস সিনেমা হল যাওয়াও এড়িয়ে চলুন। কারণ কার শরীরে করোনা ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে তা আপনি জানতে পারবেন না, যার থেকে সংক্রামিত হতে পারেন আপনিও। তাই কয়েক মাস এই সমস্ত জায়গা থেকে দূরে থাকাই ভালো। লকডাউন উঠে যাবার পরেও আইইডিসিআর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন।
ক্লাব এবং বার এড়িয়ে চলুন : যারা নাইট ক্লাব বা পার্টি ছাড়া থাকতে পারেন না তাদের হয়তো এই সময়টা খুবই কষ্ট হচ্ছে। যদি পরিকল্পনা করে থাকেন লকডাউন খোলা মাত্রই হানা দেবেন নাইট ক্লাবে, তবে নিজের বিপদ আপনি নিজেই ডাকবেন। সুস্থ থাকতে চাইলে ভুলেও পা রাখবেন না ক্লাব বা বার গুলোতে। কারণ, লকডাউন ওঠা মনে ভাববেন না যে ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
Leave a Reply