রাজশাহীতে মসজিদেই ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়, ছবি: সংগৃহীত
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ্ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলীর ইমামতিতে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের আগে বয়ান করেন জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নাজমুল হক।
ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাতে রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এএকেএম হাফিজ আক্তার ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন।
অপরদিকে, ঈদগাহ উদ্বোধন শেষে নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। একই সময়ে মহানগরীর টিকাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাহেব বাজার বড় রাস্তায়।
হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির বিপরীতে মানবিক মূল্যবোধ আর পরমতসহিষ্ণুতার বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান করা হয় ঈদ জামাত থেকে। কেন্দ্রীয় শাহ মখদুম (রহ.) দরগা মসজিদে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, বয়সের হাজারো মানুষ দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন। জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই।
প্রধান ঈদগাহ ছাড়াও একই সময় রাজশাহী মহানগরীর ১১০টি ঈদগাহ ও তার আশপাশের শতাধিক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।
এদিকে, রাজশাহীর সকল ঈদ জামাত ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যারা ঈদ জামাতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তাদের যেতে হয়েছে তল্লাশির মধ্য দিয়ে। জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু যাতে কেউ সঙ্গে না আনেন, সে বিষয়ে আগেই সবাইকে সতর্ক করেছিল মহানগর পুলিশ।
Leave a Reply