মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে যত্রতত্র অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন স’মিল। উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এই ধরণের অবৈধ স’মিল গুলো। যার ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষতির প্রভাব পড়ছে।
স’মিলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে অনেক সময় উজাড় হচ্ছে বন বিভাগের সরকারি গাছ। যার কারনে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় সদর সহ বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্রভাবে এমনকি প্রধান সড়কের কোল ঘেঁসে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসানো হয়েছে মোট ২২ টি কাঠ ফাঁড়ার স’মিল। তার মধ্যে একটি স’মিলেরও নেই বৈধ কোন কাগজপত্র। শুধুমাত্র লাইসেন্সের আবেদন করেই বিনা লাইসেন্সে চালানো হচ্ছে এলাকার এই স’মিলগুলো। এছাড়াও প্রধান সড়কের পাশে কাঠের গুঁড়িগুলো ফেলে রাখার ফলে জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। শুধু তাই নয়, খড়ি কিনতে বা নামাতে আসা গাড়ীগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানবহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান এলাকাবাসীরা।
সকাল ৬টা থেকে সন্ধা ৬টা প্রর্যন্ত স’মিল পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও কেউ কেউ রাতের আঁধারে কাঠ ফাঁড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা বারীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলাতে মোট ২২টি স’মিল আছে । যার মধ্যে ১৫/১৭ টির নামে মামলা চলমান রয়েছে। বাঁকী যে কয়টি রয়েছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা সাপেক্ষে তাদের স’মিল সিলগালা করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। তবে তাদের বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply