সুন্দরবনের পশ্চিম কয়রা এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‘বনদস্যু’ বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনের কয়রা উপজেলার সুন্দরবনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে দস্যুদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র্যাবের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি র্যাবের।
র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল সালেহীন ইউসুফ জানান, সুন্দরবনে দস্যু নির্মূলের পরও বনদস্যুদের উৎপাতের খবরে মঙ্গলবার ভোরে র্যাবের একটি দল অভিযানে নামে।
এ সময় সুন্দরবনের পশ্চিম কয়রা এলাকায় পৌঁছলে র্যাবকে লক্ষ্য করে বনদস্যুরা গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
থেমে থেমে বেশ কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলার পর দস্যুরা পিছু হটে যায়। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চার বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে র্যাব।
এ সময় আশপাশের বনজীবীরা এসে চারজনের মৃতদেহ দেখে বনদস্যু বাহিনী প্রধান আমিনুর ও তার সেকেন্ড-ইন কমান্ড রফিকের বলে শনাক্ত করেন।
অপর দুই বনদস্যুর নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পরে র্যাব সদস্যরা সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও দস্যুদের ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করে।
Leave a Reply