নিজস্ব প্রতিবেদক:বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কোটিপতি হয়েছেন সাভারের অনেক নেতাই। রাজমিস্ত্রী হোক আর কাঠমিস্ত্রী, বাঁশ বিক্রেতা হোক আর মাছ বিক্রেতা সবাই আজ কোটিপতি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগ পদ পদবীর সাথে কি ধন সম্পদ দিয়ে দেয় নাকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ টাকা হাতিয়ে নেয় নেতারা?
তদন্তের মাধ্যমে কিভাবে এরা কোটিপতি হয় তার মধ্যে এক নেতার অবৈধ আয়ের চিত্র তুলে ধরলাম। সাভারের বেশিরভাগ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর বসবাস।বিরুলিয়া ইউনিয়নে। বিরুলিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিম মোক্তার সামান্য সাবরেজিস্টার অফিসে চাকরি করেন। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, তার সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক বিরুলিয়া ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে প্রায় ৭০ বিঘা জমি। কল্পনা করতে পারেন ৭০ বিঘা সম্পত্তি কতটুকু?
তার আরোও সম্পত্তি রয়েছে সাভার রাজাশনে ১৫ শতাংশ, রাজধানীর মিরপুর ২ নাম্বারে আছে তার বাড়ি, সাভার কাউন্দিয়ার ইটখোলা এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘা জমি। আর এই সবই গায়ের জোর দখলবাজী আর কূটকৌশলে করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, হালিম মোক্তার বিরুলিয়া ইউনিয়নের ফুল মার্কেটে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি হালিম মোক্তারের দোকান থেকে মালামাল ক্রয় না করলে রাতের আঁধারে রীতিমত হুমকি দিয়ে আসছেন ক্রেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে। মূল কথা একটাই, তার দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করতে হবে। এটাও এক ধরনের চাদাবাজী ব্যবসা।
এমন অবৈধ উপায়ে একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে প্রাইভেট গাড়ি করেছে দুইটা এবং বিলাসবহুল বাড়ি সাজিয়েছেন মনের মত করে। বিরুলিয়া ইউনিয়নের কি আলাদিনের চেরাগের দৈত্য এই হালিম মোক্তার?
জানা যায়, কিছু দিন আগে হালিম মোক্তারের সহযোগী জাহাঙ্গীরের ভাই আলমগীরকে হিরোইন সহ আটক করে সাভার মডেল থানার এস আই আজগর। পরে সেখানে এই মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়াতে পুলিশের কাছে সুপারিশ করে সভাপতি হালিম মোক্তার। সেখান থেকে অনেক মানুষের ধারনা মাদক ব্যবসায়ীদের ইন্ধন দাতাও তিনি।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের তথ্য তাহলে এরা কিসের শক্তিতে দুর্নীতি এবং মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন প্রশ্ন জনমনে।
বিরুলিয়ার সাধারণ জনগণের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকার নিলে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানতে পারি, এলাকায় কারো পারিবারিক বা জমি সংক্রান্ত ঝামেলা হলে বিচারের নামে কাজ বুঝে টাকা নেয় হালিম মোক্তার।
বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হালিম মোক্তারের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগও রয়েছে, বিশেষ করে হালিম মোক্তারের ছেলে উল্লাস খানও একই নায়ের মাঝি যে কিনা সাভারের বিতর্কিত এক মহিলা নেত্রীকে দিয়ে কয়েকদিন আগে তার নিজের আত্নীয়কেও মিথ্যা নারী কেলেংকারী মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চেয়েছেন। পুলিশ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে অভিযোগ গঠন করেনি। কথিত সে নারী নেত্রীর সাথে উল্লাসের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলেও জানা যায়।
সাভার সিটি সেন্টার শপিং মলে কর্মরত এক নারী শ্রমিকের সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় উল্লাস খান, পরে সেই নারীর কাছে থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিয়ে হুমকি দিয়েছে। আর এই লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেম হয়ে যায় আগুন। পরে সেই নারী এই বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার চাইলে বিচার পায়নি বলে জানা যায়।
ভূমিদস্যুদের কোন ছাড় নয় কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা তোয়াক্কা না করে এরা দখলবাজী করে বলে জানা যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরও জানা যায়, কিছু দিন আগে একজনকে প্রান নাশের হুনকি দিলে সেই লোক সাভার মডেল থানায় ডায়েরি করেন। এই যদি হয় সভাপতির কাজকর্ম তাহলে সেই ইউনিয়নের চুনোপুঁটি কি করে সেটা আর বুঝতে কারো বাকি আছে বলে মনে হয় না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আস্থা আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা সাভার আশুলিয়া অভিভাবক মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান আমাদের অভিভাবক। আমাদের অভিভাবকের কাছে বলতে চাই এসব দখলবাজ মাদক ব্যবসায়ীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করে নতুন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাহলে সফল হবেন।
এ সকল অভিযোগের ব্যাপারে বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বার বার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।
Leave a Reply