মোঃ জামিল হোসেন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রোববার সকাল ৮টায় মেডিকেল মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। মেডিকেল মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা আ’লীগ সহসভাপতি আব্দুল খালেক,উপজেলা আ’লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী শাহ,সহসভাপতি আইয়ুব আলী,সাধারন সম্পাদক আলহাজ ডাঃ আসরাফুল হক চুনু,সাংগাঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক রাব্বুল হোসেন,যুগ্ন সাংগাঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা,জেলা পরিষদ সদস্য পিয়ার জাহান, মুক্তিযোদ্ধা আপসার আলী, যুবলীগ সভাপতি রেজাউল করিম বাবলু,ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক তোহিদুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতীলীগসহ নেতৃবৃন্দ। উপজেলা আ.লীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে এসব কর্মসূচী সম্পন্ন হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে বাংলাদের অস্থায়ী রাষ্টপ্রতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ,মন্ত্রীসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে।
সেদিনের ওই ঘটনা দেশবাসীসহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে জঘন্য ও বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইতিহাসবিদদের মতে, মানবসভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর রাত ৩ নভেম্বর। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও তার সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ জাতীয় চার নেতা সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে তাদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়।
Leave a Reply