বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাসের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সং’ঘর্ষে নি’হতদের মধ্যে আটজনের ম’রদেহ মুন্সীগঞ্জের লৌহ’জং উপজে’লার কনকসার বটতলায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কনকসার বটতলা গ্রামের ব্রাহ্মণগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে হলদিয়া সাতঘড়িয়া কবরস্থানে তাদের ম’রদেহ দাফন করা হয়।
অন্যদিকে নি’হত মাইক্রোবাসচালক বিল্লালের ম’রদেহ লৌহ’জং উপজে’লার নাগেরহাটে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। একসঙ্গে ৯ জনের মৃ’ত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সং’ঘর্ষে ৯ জন নি’হত হন।
নি’হতরা হলেন- বরের বাবা আব্দুর রশিদ বেপারী (৬০), বোন লিজা (১৫), চাচা আব্দুল মফিজ (৫৮), ভাবি রুনা (২৫), ভাতিজা তাহসান (০৩), ভাগনি তাবাসুস অবনি (৫), মামাতো বোন রেনু (১০), প্রতিবেশী কেরামত বেপারী (৬০) ও মাইক্রোবাসচালক বিল্লাল (৪০)।
শুক্রবার কাবিনের উদ্দেশে বরের বাড়ি থেকে হাসিমুখে কনের বাড়ি ঢাকার কাম’রাঙ্গীরচর যাচ্ছিল দুটি মাইক্রোবাস। কিন্তু পথিমধ্যে শ্রীনগরের ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডের কাছে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সং’ঘর্ষে মাইক্রোবাসের ৯ জনের মৃ’ত্যুতে শেষ হয়ে গেল সবকিছু।
শুধু বরের বাড়ি নয়, শোকে আচ্ছন্ন পুরো কনকসার ইউনিয়ন। একটি দুর্ঘ’টনায় একসঙ্গে এতো মানুষের মৃ’ত্যু তারা কখনও দেখেননি। বরের বাড়ির সামনে স্বজনদের কা’ন্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই প্রতিবেশীদের। তবুও পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দুর্ঘ’টনার কয়েক ঘণ্টা আগেও এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বইছিল বিয়ে বাড়ির আনন্দ। এখন শোকে পাথর সবাই।
বর রুবেলের চাচাতো দুলাভাই আব্দুর রউফ বলেন, ঢাকা থেকে এই বিয়েতে যাওয়ার কথা ছিল আমা’র। কিন্তু দুর্ঘ’টনার খবর পেয়ে গ্রামের বাড়ি চলে এসেছি। একটি দুর্ঘ’টনায় সব শেষ হয়ে গেল।
Leave a Reply