শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে রুপালী ব্যাংকের পিএলসি নতুন ভবনের শুভ উদ্বোধন‌‌-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কায়সারের গণসংযোগ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ৩টি মোটরসাইকেলসহ অন্তঃজেলা চোর চক্রের ৪জন গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ঢাকাস্থ ভোলাহাট উপজেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত -বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিশিষ্টজনদের সম্মানে জামায়াতরে ইফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জন গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে সাংবাদিকদের সাথে ইফতার করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেক-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সাংবাদিকদের সাথে ইফতার-বরেন্দ্র নিউজ
যেনে নিন নতুন জাতের বারোমাসি আম বারি ১১ এর বৈশিষ্ট্য , ফলন ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে-বরেন্দ্র নিউজ

যেনে নিন নতুন জাতের বারোমাসি আম বারি ১১ এর বৈশিষ্ট্য , ফলন ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে-বরেন্দ্র নিউজ


বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
মৌসুমি ফল হিসাবে পরিচিত আম কিন্তু তা আর এখন শুধু মৌসুমের উপর নির্ভর নয়। পাওয়া যাবে ১২ মাস। হ্যাঁ থিকই শুনেছেন,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের পাহাড়তলি উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র বারি-১১ নামের জাতের আম আবিষ্কার করেছে। আসুন প্রথমেই যেনে এই এই নতুন জাতের আমের কিছু বৈশিষ্ট্য।

বারি আম ১১ এর বৈশিষ্ট্যঃবারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম অর্থাৎ সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে।
বছরে তিনবার ফল প্রদান করে থাকে। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়।

ফল লম্বাটে ( লম্বায় ১১.৩ সেমি ) এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ৩০০-৩৫০ গ্রাম।

কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।

আম গাছটির উচ্চতা ৬-৭ ফুট। গাছটির কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার

কোথাও পাকা আম। একটি গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’।

এটি খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের।

এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে।

বারি আম ১১ এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে।

আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে।

আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী।

আমের এই জাতটি সম্পূর্ণ দেশীয় আম হাইব্রিড নয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে সংকরায়ণের ফলে সৃষ্ট।

চাষের উপযুক্ত জমিঃ মাঝারী উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি বারি আম ১১ চাষের জন্য উপযোগী।

বংশবিস্তারঃ বীজের বা কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায়। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করলে মাতৃগাছের মতো ফল পাওয়া যায় না। তাই কলমের মাধ্যমেই এই জাতের আমের চারা উৎপাদন ও বংশবিস্তার করা উত্তম। এক্ষেত্রে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় / ভাদ্র – আশ্বিন (মে-জুন/ আগস্ট-সেপ্টেম্বর) করাই উত্তম।

আম পাকার সময়ঃ মে মাস আমের মৌসুম হওয়ায় এ মাসে আমের ফলন বেশি হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগস্ট মাসে, তৃতীয় পর্যায়ে নভেম্বর এবং চতুর্থ পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আম পাকবে।

ফলনঃ বারি আম ১১ এর ফলন ২২,০০০ কেজি/হেক্টর বা ২২ টন/ হেক্টর। এছাড়াও প্রতি শতকে ৮০-৯০ কেজি আমের ফলন হয়ে থাকে।

প্রাপ্তিস্থানঃ বারি আম -১১ বা বারমাসি আমের এই জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রেই চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সকল আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে।

সম্ভাবনাঃ বারি আম-১১ থেকে সারা বছর ফুল,ফল ও পাকা আম পাওয়া যায বিধায় ভবিষ্যতে এই জাতের আমের চাষ বাড়বে। এছাড়াও বাড়ির ছাদেও বারি আম-১১ চাষ করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT