নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকা উপজেলাধীন পৌরসভার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান চেরেঙ্গা ডাকুরডাঙ্গা । এই এলাকার একমাত্র খেলার মাঠটি দিনে দিনে দখল করে নিচ্ছে কিছু প্রভাশালী ব্যাক্তি। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় এই ডাকুরডাঙ্গায় সরকারি খাস জমির অন্তত অভাব নেই। এর মাঝে একটু ফাকা জায়গা পরে আছে। যদিও এটি একটি মাঠ কিন্তু বর্তমানে এটাকে মাঠ বলা যায় না। দিনে দিনে এখানকার মাঠটি যেমন হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য তেমনি হারাতে বসেছে রূপবৈচিত্রও। মাঠের ঠিক পাশের মুদি দোকানি করিফুল ইসলাম সাংবাদকর্মী কে বলেন, একমাত্র জলঢাকা ছাড়া আশেপাশে আর কোন মাঠ নেই।ডাকুর ডাঙ্গার এই মাঠে স্থানীয় এলাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার খেলোয়াড় এসে খেলা করে। কিন্তু বর্তমানে মাঠটি প্রায় অর্ধেকে চলে গেছে কিছু লোকের দখলে।এদের হাত থেকে কোনোভাবেই এটাকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা। এটা আমাদের কাম্য নয়। সরেজমিনে ঘু্রে কথা হয় একসময় এমাঠে খেলা করতেন খেরোয়ার ফেরদৌস ইসলামের সাথে তিনি জানান, এই মাঠে খেলা করে আমি বড় হয়েছি, মাঠটি অনেক বড় ছিল,খেলার মুল মাঠ বাদে ও হাজারো মানুষ খেলা দেখার মত জায়গা ছিলো। এখব দেখছি দিনে দিনে মাঠটি বে দখল হয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি খেলাধুলার প্রয়োজন আছে তাই বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য মাঠটি দখলে হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এমন কি মাঠটির যথাযথ সংস্করণের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জানাচ্ছি । এ বিষয়ে জলঢাকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রহমত আলির কাছে মাঠ সংস্করণের বিষয়ে কথা বলতেই তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অনেক আগে থেকেই অবগত তাছাড়া আমার নির্বাচনী ইশতেহার ছিলো মাঠটিকে সংস্করন করা লিখিত অভিযোগ আকারে আমার কাছে আসলে এ বিষয়ে আমি পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় ব্যবস্থা নিবো। স্থানীয় খেলোয়াড়েরা অনেক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই অঞ্চলের একমাত্র এই মাঠটিকে প্রভাবশালীরার তাদের নিজেদের দখলে নিয়েছে এমনকি নানা ধরনের গোডাউন ঘড় মাঠের ভিতরে স্থাপন করা হয়েছে এতে দিনে দিনে মাঠটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।আমরা অনেক প্রতিনিধীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি মাঠটিকে প্রভাবশালীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এমনকি এ নিয়ে আমরা অনেক আন্দোলন ও করেছি কিন্তু কোন সাফল্যের দেখা পাইনি। তারা আরো বলেন, মাঝে মাঝে কিছু প্রভাবশালি ব্যাক্তির জন্য ট্রলি ভর্তি বালু মাঠের পাশের দিঘি থেকে উত্তোলন করার কারনে মাঠের ঐতিহ্য আজ মৃত প্রায়। আমরা স্থানীয় খেলোয়াড়েরা এর থেকে পরিত্রান চাই, আমাদের খেলার মাঠটি যেন আবার আগের রুপে ফিরে আসে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে জলঢাকা পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেস্টা করেও কোন সারা পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply