নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বৃহষ্পতিবার থেকে থার্মাল স্ক্যানার মেশিনের সাহায্যে সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সে সাথে ভারতীয় ট্রাক চালক ও তাদের সহকারীদেরও এ পরীক্ষার আওতায় নেয়া হয়েছে। তবে জেলার অপর শুল্ক স্টেশন রহনপুর শুল্ক স্টেশনে এখনও কোন মেডিক্যাল টিম তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টারে কর্মরত ডা: ফাহাদ আকিদ রেহমান জানান, বৃহষ্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৬৩ জন ট্রাক চালক ও তাদের সহকারী এবং পাসর্পোটধারী যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ বন্দরে কোন যাত্রীর দেহে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা এক যাত্রী জানান, তিনি মালদা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের মোহদীপুর স্থলবন্দরে কোন মেডিক্যাল টিম করোনা ভাইরাস সনাক্তে উদ্যোগ না নিলেও সোনামসজিদ স্থল বন্দরে অধ্যাধুনিক পদ্ধতিতে ভাইরাসটি সনাক্তকরনের উদ্যোগ নেয়ায় খুশি তিনি।
অন্যদিকে সোনামসজিদ সি এ্যান্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান, আগে ভারতীয় ট্রাক চালক ও তার সহকারীদের এ পরীক্ষার আওতায় না আনা হলেও বৃহষ্পতিবার থেকে সকল ভারতীয় ট্রাক চালক ও এর সহকারীদের ভাইরাস সনাক্তকরন কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব বন্দর দিয়ে যাত্রী যাতায়াত করবে ,শুধু সেসব বন্দরে মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। সে মোতাবেক সোনামসজিদ স্থল বন্দরে আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এবং বর্তমানে থার্মাল স্ক্যানার প্রাপ্তির পর এ স্ক্যানারের সাহায্যে বন্দর দিয়ে যাতাযাতকারী সকলের করোনা ভাইরাস সনাক্তের কার্যক্রম চলছে।
প্রসঙ্গত চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখার পর সোনামসজিদ বন্দরে শুধু পাসর্পোটধারী যাত্রীদের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাইরাস সনাক্তকরন কার্যক্রম চালুর পর বৃহষ্পতিবার থেকে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে যাত্রী সহ বন্দর ব্যবহারকারী সকলের এ পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।- কপোত নবী
Leave a Reply