বরেন্দ্র নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানতে মাঠে নামে দুইদল। তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে জিম্বাবুয়েকে ৩২৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ দল।
৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শফিউল। ব্যক্তিগত ২ রানে শফিউলের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রেজিস চাকাভা।
এরপর দলীয় ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ১১ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন দলের তারকা ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলর। তিনাশে কামুনুকামের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস।
কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাঝঘরে ফিরেন তিনি। অন্যদিকে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন কামুনুকামে। ৬৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাফসেঞ্চুরির পর তাকে ক্রিজে থাকতে দেননি তাইজুল।
৫১ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন কামুনুকামে। এরপর সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধবেরের ব্যাটে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে জিম্বাবুয়ে। দুইজনই হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। মাধবেরে ৫৬ বলে ৫ চারে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
কিন্তু ৫২ রান করে তাইজুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরেন মাধবেরে। অন্যদিকে ৪৮ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সিকান্দার রাজা। এদিকে জিম্বাবুয়ে শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন তাইজুল।
১৯ রান করা রিচমন্ড মুতাম্বামিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান তাইজুল। এরপর ৬৬ রান করে মাশরাফির বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে তালুবন্ধি হয়ে ফিরেন রাজা। ডোনাল্ড টিরিপানো ও টিনোটেন্ডা মুতোম্বোজি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। ২১ বলে ৫ চারে ৩৪ রান করে আল-আমিনের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মুতোম্বোজি।
শেষ বলে জয়ের জন্য ৬ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। ৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো টাইগাররা। ২৮ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন টিরিপানো।
Leave a Reply