মোঃ নাসিম,নাচোল(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের হাটগুলোতে পশু (গরু-ছাগল) বেচা-কেনা শেষ মূর্হুর্তে জমে উঠেছে পুরোদামে। ঈদুল আযহার বেশ কিছু দিন বাকি থাকলেও নাচোলের ৭টি হাটে গরু-ছাগল বেচা-কেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। জানাগেছে নাচোলে ৭টি পশুর হাটে গরু-ছাগর বেচা-কেনা হয়ে থাকে। এবছর ওই হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোনাইচন্ডিহাট, গোলাবাড়ী, উজিরপুর, মল্লিকপুর, রাজবাড়ী, নাচোল রেলস্টেশন ও নাচোল পৌরসভার সন্নিকটে গরুর হাট। শনিবার বিকালে মল্লিকপুর গরুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশীয় খামারী ও গৃহস্থরা তাদের পশু নিয়ে হাটগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে কেনা-বেচা করছে। তবে এবছর এ পর্যন্ত ভারতীয় গরু আমদানী না হওয়ায় দেশের খামারী ও গৃহস্থরা দেশীয় গরুর ভালো দাম পাবার আশা করছেন। তরিকুল ইসলাম নামের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন,এ বছর সীমান্ত এলাকা গুলোতে সরকারের নজরদারি থাকায় ভারত থেকে খুব বেশি একটা গরু আমদানি করতে পারে নী কালোবাজারিরা। যার ফলে আমাদের এ হাট গুলোতে কুরবানির জন্য দেশীয় গরুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশীয় খামারী ও গৃহস্থরা তাদের পশু নিয়ে হাটগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে কেনা-বেচা করছে এখন পর্যন্ত কোন হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ,জাল টাকা,মলমপার্টির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারী থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা শান্তিপূর্ণভাবে পশু কেনা-বেচা করতে পারছে। এছাড়া নাচোল থানার পক্ষ থেকে পশু হাটগুলোতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা জানান, আসন্ন ঈদে খামারী বা গরু ব্যবসায়ীরা দেশের অভ্যান্তরে গরু নিয়ে যাবার পথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কোন বাধার সন্মুখিন হয়নি। জাল টাকা সনাক্ত ও প্রতিরোধ করার জন্য সোনালী ব্যাংক নাচোল শাখাকে অনুরোধ করা হয়েছে। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, ঈদের পূর্বে পশু হাটগুলোতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। কোন বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না।
Leave a Reply