নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি মসজিদের ভিতরে থাকা ফুলের গাছ কাটার প্রতিবাদ করায়
মসজিদটির সভাপতির পরিবারের উপর হামলা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে
মসজিদের সভাপতি মো. মামুন রেজার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মিলন (২৬), পিতা
মো. গোলাপ আলী (৫০), চাচা মো. আশরাফুল ইসলামসহ আরো অন্তত
দুইজন। ঘঠনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের গোহালবাড়ি
গ্রামে। শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর গোহালবাড়ি জামে মসজিদের বেলী
ফুলের গাছ কাঁটাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না
জানিয়ে মসজিদের ভেতরে থাকা সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী ও সুগন্ধযুক্ত বেলী
ফুলের গাছ কেটে ফেলে একই গ্রামের মো. তরিকুল ইসলাম ঝুমরা (৪৫)। পরদিন
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের সভাপতি মো. মামুন রেজা জরুরী সভা
আহব্বান করে সভাপতিকে না জানিয়ে গাছটি কাটার কারন জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত
হয়ে মসজিদের ভেতরেই বিভিন্ন খারাপ ভাষা প্রয়োগ করেন তরিকুল ইসলাম ঝুমরা।
হামলায় আহত মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমিসহ সভাপতি মামুনের পিতা মো. গোলাপ
আলী শুক্রবার এশার নামাজের পর বের হলে তরিকুল ইসলাম ঝুমরা বিভিন্নভাবে
গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ছাতা দিয়ে আঘাত করে। এরপর
ঘটনাস্থলে সভাপতি মামুনের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মিলন এগিয়ে আসলে ঝুমরা ও
তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা ও ইটপাটকেল ছুড়ে
মারে। মিলন গুরুতর আহত হলে তাকে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে
তার মাথায় ৬টি ও পায়ে ৪টি সেলাই করা হয়। তিনি আরো জানান, এই মূহুর্তে
সভাপতির পরিবার নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছেন, হয়তো তাদের উপর আবার হামলা হতে
পারে এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে। ঘটনার পর মসজিদের সভাপতি মো. মামুন রেজার
পিতা মো. গোলাপ আলী বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে মসজিদের ভেতরে থাকা ফুলের
গাছ কাটার অভিযোগ স্বীকার করে মো. তরিকুল ইসলাম ঝুমরা বলেন, তাদের
বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মিথ্যা এবং সম্পন্ন বানোয়াট। তিনিই পাল্টা অভিযোগ
করেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তারাই দলবল বেঁধে আমার ও পরিবারের প্রতি
হামলা চালিয়েছে। শনিবার সকালে তিনি সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন বলে
জানা গেছে।
ইউপি সদস্য আবু সালেহ হাম্মাদ রাজীব জানিয়েছেন, ঘটনাটি সর্ম্পকে আমরা
অবগত রয়েছি। এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে স্থানীয়ভাবেই মিটিয়ে
নেয়ার ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি।[কপোত নবী-১৮-০৮-১৯]
Leave a Reply