‘কেউ যেন রাষ্ট্রহীন না হয়’: ভারতকে সতর্কবার্তা জাতিসঙ্ঘের – ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় রাজ্য আসামের এনআরসি ইস্যুতে এবার আসরে জাতিসঙ্ঘ। জাতিসঙ্ঘ উদ্বাস্তু বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এই ইস্যুতে ভারত সরকারকে একপ্রকার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ফিলিপো গ্রান্ডি ভারত সরকারকে নিশ্চিত করতে বলছেন, যাতে কোনোভাবেই কোনো নাগরিক রাষ্ট্রহীন না হয়ে পড়ে।
ফিলিপো গ্রান্ডি রোববার ভারতের এনআরসিতে ১৯ লাখ মানুষের বাদ পড়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। জেনেভা থেকেই একটি বিবৃতি জারি করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, “যেকোনো প্রক্রিয়া, যাতে অনেক মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে যেতে পারে সেই প্রক্রিয়াই, বিশ্বকে উদ্বাস্তশূন্য করার জাতিসঙ্ঘের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করবে।”
গ্র্যান্ডি বলছেন, ভারত সরকারের উচিত এটা নিশ্চিত করা যেকোনো নাগরিকই রাষ্ট্রহীন না হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তার আরো দাবি, “প্রত্যেক নাগরিকের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের উপযুক্ত আইনি পরিষেবা দিতে হবে। সরকারকে আইনি সহায়তা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, এরা সর্বোচ্চ শ্রেণির পরিষেবা পাচ্ছে।”
আসলে, গোটা বিশ্বেই উদ্বাস্তু সমস্যা মেটাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জাতিসঙ্ঘ। সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিতড়নের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উদ্বাস্তু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জাতিসঙ্ঘ উদ্বাস্তু পরিষদ নিশ্চিত করতে চাইছে, যারা ভারতের এনআরসি থেকে বাদ পড়ছেন, তারা যেন রাষ্ট্রহীন না হয়ে যান। কারণ, বাংলাদেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতে এনআরসি থেকে বাদ পড়া কেউ বাংলাদেশী নয়। তাই, তাদের পুনর্বাসনের কোনো দায়ও হাসিনার সরকারের নেই। সেক্ষেত্রে, যে বা যারা এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়বে, তারা প্রত্যেকেই উদ্বাস্তুর মর্যাদা পাবে।
উল্লেখ্য, শনিবারই আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। খসড়ায় বাদ যাওয়া ৪১ লাখ মানুষের মধ্যে নতুন তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন প্রায় ২২ লাখ মানুষ। চূড়ান্ত তালিকায় মোট ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন ঠাঁই পেয়েছেন। বাদ গেছে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষের নাম। ফলে এই ১৯ লাখেরও বেশি মানুষের ভবিষ্যত এখন অথৈ পানিতে। এদের নিয়ে চিন্তিত জাতিসঙ্ঘের শীর্ষ কর্মকর্তাও।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply