মোঃ নাসিম, নাচোল প্রতিনিধিঃ-চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে পৌর এলাকার সব চাইতে ব্যস্ত ও জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর অবৈধ ‘স্ট্যান্ড’ অটো চার্জার গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। জানা গেছে, নাচোল বাস-স্ট্যান্ড হইতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন (বাস -স্ট্যান্ড ) রাস্তার দুধারে অটো চার্জার গাড়ি, মিশুক ও ভুটভুটির স্বঘোষিত অবৈধ পার্কিং-স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন রেখে প্রতিনিয়ত রাস্তায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ করে চলেছে।
সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের এই দুর্ভোগ সবাই দেখছেন শুধু দেখতে পাচ্ছেন না পৌর মেয়র,সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী? অথচ এই অবৈধ স্ট্যান্ড সংলগ্ন গড়ে উঠেছে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ব্যাংক সহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিশুরা, তাদের প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথ পাড়ি দিয়ে নাচোল খুরশেদ মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পাঠশালা স্কুল এন্ড কলেজ,এশিয়ান স্কুল এন্ড কলেজে যাতায়াত করছে। অনু সন্ধানে জানা গেছে, নাচোল পৌর সদরের বাস -স্ট্যান্ড হইতে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গামী জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গড়ে উঠেছে স্বঘোষিত অবৈধ স্ট্যান্ড।
আর অবৈধ এই স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে বড় অঙ্কের চাঁদাবজি হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। মুরাদ পুর এলাকার মুজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নাচোল বাস-স্ট্যান্ড হইতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন (বাস -স্ট্যান্ড ) রাস্তার দুধারে অটো চার্জার গাড়ি, মিশুক ও ভুটভুটির গাড়ি চালকের কাছে থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে থাকে।
তবে এসব উত্তোলন কৃত টাকা কোথায় জমা হয় তা জানে না গাড়ি চালকরা। গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, এসব প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কিংবা পৌর মেয়রের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় স্বঘোষিত বাস স্ট্যান্ডে ছোট-বড় বভিন্ন রকমের যানবাহন রেখে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে। আর ছোট ছোট শিশুরা চরম আতঙ্ক নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথপাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। নাচোল বাস-স্ট্যান্ড হইতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন (বাস -স্ট্যান্ড ) রাস্তার দুধারে অটো চার্জার গাড়ি, মিশুক ও ভুটভুটির স্ট্যান্ড করায় এই রাস্তা দিয়ে একটি গাড়ি গেলে অপর একটি গাড়ি পার হতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে গত ৬ মাস ধরে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংএ নিরসনের জন্য একাধিকবার আলোচনা করা হলেও পৌর মেয়র কিংবা উপজেলা প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা বলেন, তারা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিকবার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এসব প্রতিরোধে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এসব প্রতিরোধ করা যাদের দায়িত্ব তাঁরা রহস্যজনক কারণে বার বার তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে চলেছেন।
বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ,পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন ঝালুর সাথে আলাপ করে খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply