আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ‘কোড অফ কনডাক্ট’ লঙ্ঘন করেছেন বিরাট কোহলি। যে কারণে তাকে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
রোববার বেঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান নেয়ার সময় আফ্রিকান বোলার বিউরন হেনড্রিক্সের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে যান কোহলি। খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
সোমবার আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, কোহলি ২.১২ ধারায় প্লেয়ারদের কোড অফ কনডাক্ট লঙ্ঘন করেছেন। প্লেয়ার, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অসঙ্গত শারীরিক সংঘর্ষ করলে দোষী সাব্যস্ত হয়। এর ফলে বিরাটের একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। এ নিয়ে কোহলির তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের লিগ পর্বে এজবাস্টনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে আম্পায়রদের সাথে অপ্রীতিকর আচরণ করেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ১২তম ওভার চলছিল তখন। ভারতের মোহাম্মদ শামির বলে এলবিডব্লিউ’র আবেদন হয় টাইগার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের বিপক্ষে।
আম্পায়ার মারিয়াস এরাসমাস ভারতের সে আবেদন নাকচ করে দেন। রিভিউ নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রিভিউয়ে দেখা যায় বলটা ব্যাট আর প্যাডে একসঙ্গে লেগেছে। থার্ড আম্পায়ার আলিম দার তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।
কিন্তু বিষয়টি মানতে পারেননি বিরাট কোহলি। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন তিনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশে ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার কথা কোহলির। যদিও পরে সেই বিষয় সতর্ক বার্তা ছাড়া আর কিছুই শুনায়নি আইসিসি।
এরপর বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে অতিরিক্ত আবেদন করার জন্য ম্যাচ ফির ২৫ ভাগ জরিমানা করা হয় কোহলির। সঙ্গে দেয়া হয় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তারও আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি।
সবমিলিয়ে কোহলির নামের পাশে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট বিশ্বকাপ চলাকলীন পর্যন্ত ছিল। সর্বশেষ রোববার ঘরের মাঠে অপরাধ করার জন্য পেলেন আরেকটি ডিমেরিট পয়েন্ট মোট ৩টা। সাথে আছে অনেক সতর্কবার্তা ও জরিমানা। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিষিধাজ্ঞার কোনো আশ্বাস মেলেনি আইসিসির পক্ষ থেকে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, দুই বছরের ব্যবধানে লেভেল টু ভাঙার অপরাধে ৩ বা ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক টেস্ট অথবা দুই ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হবেন কোনো খেলোয়াড়।
কোহলির অপরাধটা প্রেত্যেকটির ক্ষেত্রে ছিলো লেভেল ওয়ানের। সেক্ষেত্রে তিনটি বা চারটি ডিমেরিট পয়েন্টে একটি ওয়ানডের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন একজন ক্রিকেটার।
Leave a Reply