রাজধানীর তেজগাঁও ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান চালিয়ে পুলিশের অভিযানের দুই দিন পর ২২শ বোতল অ’বৈধ ম’দ ও ১০ হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করেছে র্যাব।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া অভিযান চলে ১১ ঘণ্টা ধরে। পরে গণমাধ্যমকে অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়। অভিযানে বিপুল আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।
সঙ্গে বারটি সিলগালা করে মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো, জুয়া এবং ম’দের বারগুলোতে অভিযান শুরু হলে ফু-ওয়াং ক্লাব কর্তৃপক্ষ বারটি বন্ধ করে দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ক্লাবটি সংস্কার করা হবে।
পরে গত সোমবার ফু-ওয়াং ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ৷ ঘণ্টা দুয়েক অভিযান চালিয়ে ক্লাবটির বারে তেমন কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।
ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুলাহ আল মামুন সেদিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘ক্লাব কর্তৃপক্ষ বারে রাখা লিকারের কাগজপত্র দেখিয়েছে। তাদের সকল কাগজপত্র ঠিক রয়েছে।’
পুলিশের অভিযানের দুই দিন পর বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে একই ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব-১৷ ১১ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানটি শেষ হয় বৃহস্পতিবার সকালে।
অভিযানে ক্লাবের বারটি থেকে ২ হাজার ২০০ বোতল অ’বৈধ মদ ও ১০ হাজার ক্যান অ’বৈধ বিয়ার ও আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট জব্দ করা হয়। ক্লাবের বারটিতে অনুমোদনের থেকে তিনগুণ বেশি লিকার ছিল।
অভিযান শেষে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, ‘১১ ঘণ্টা ব্যাপী আমাদের এ অভিযান শেষ হয়েছে। ফু-ওয়াং ক্লাবের অভিযানে বিপুল বিদেশি ম’দ, সিগারেট ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। যার সবই অ’বৈধ ও অনুমোদনহীন।’
‘অভিযানে আমরা ক্লাবটির বারে আমদানি নিষিদ্ধ বিপুল সিগারেট পেয়েছি। এছাড়া মা’দক বিক্রির ৭ লাখ টাকা জব্দ করে হয়েছে। বারটিতে অনুমোদনের থেকে তিনগুণ বেশি লিকার ছিল, সম্পূর্ণ বে-আইনি। ফলে অ’বৈধ মা’দকের পাশে রাখা সকল বৈধ মা’দকও অ’বৈধ হয়ে গেছে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযান থেকে আমরা তিনজনকে আটক করেছে। এই তিন জনসহ ক্লাবটির মালিকের বিরুদ্ধে মা’দক আইন ও বিশেষ আইনে মামলা করা হবে এবং বারটি সিলগালা করা হয়েছে।’
Leave a Reply