রাজশাহী আসবেন আর পদ্মার পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন না তা যেন অকল্পনীয়। তাই তো বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে এসে পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেক নেতাকর্মী।
আর পদ্মার পাড় থেকে কিছুটা দূরে সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন নেতারা। মঞ্চে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশ উপলক্ষে রাজশাহী এসেছেন বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা। সমাবেশ শুরু হলেও এদের অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন পদ্মা নদীর পাড়ে। কেউ কেউ যাচ্ছেন নৌকা ভ্রমণেও।
অনেকেই আবার বসে আছেন পদ্মার পাড়ের লালন শাহ মঞ্চে। এদের একজন পাবনার সাথিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী মনু মিয়া। তিনি বলেন, রাজশাহীতে এসে এই জায়গাটা খুব ভালো লাগছে। তাই আমরা কয়েকজন বসে আছি। পেয়ারা খাচ্ছি।

পদ্মা নদীর একেবারেই পাড়ে কয়েকজন বসে ছিলেন চেয়ারে। তাদের মধ্যে ছিলেন রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভা বিএনপির সহসম্পাদক কায়সার হামিদ। তিনি বলেন, শহরে ঢোকার আগেই পুলিশ সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। এখানে আসতে কষ্ট হয়েছে। ক্লান্ত হয়ে গেছি। তাই বাতাসে একটু বসে আছি।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুবদলের সভাপতি রুবেল আলীকেও পাওয়া যায় পদ্মার পাড়ে। তিনি বলেন, জায়গাটা সুন্দর। কিন্তু সচরাচর আসা হয় না। তাই একটু বসে আছি। তবে গাড়ি না পেয়ে হেঁটে আসার কারণে ক্লান্ত হয়ে তিনি বসে আছেন বলে জানান রুবেল।
রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে সমাবেশ শুরু হয়েছে। এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা।
সূত্র: ঢাকাটাইমস
Leave a Reply