শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিজয় দিবসে জামায়াতের র‍্যালী-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে গোহালবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে আলোচনা সভা-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ গোদাগাড়ীতে ৫০ গ্রাম হিরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ
আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার নিয়ে দুটি কথা : সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ-বরেন্দ্র নিউজ

আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার নিয়ে দুটি কথা : সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ-বরেন্দ্র নিউজ

ডেস্ক নিউজ : আমি আজকাল ফেসবুক ইউটিউব এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় ও পত্রপত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু লেখা লেখি দেখতে পাই। যারা এসব লেখালেখি ও বলাবলি করে তাদের জানতে হবে, আমি কোন ফকিন্নি ঘরের ছেলে অথবা কোন ঘুটা কুড়ানির ঘরের ছেলে নই। আমার দাদা খলিল উদ্দিন বিশ্বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় জোতদার ছিলেন।

বাংলাদেশের মাটিতে চাপাই নবাবগঞ্জ জেলায় তাঁর নামে চার হাজার বিঘা জমি ছিল। ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় আরো দুই হাজার বিঘা জমি ভারতে থেকে যায়। আমার বাবা আবদুল লতিফ বিশ্বাস সহ সকল চাচারা, দাদার মৃত্যুর পর১০০০ বিঘা করে ধানি জমি ভাগে পায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসপি অফিস, নবাবগঞ্জ কোট এরিয়া, পুলিশ ফাঁড়ি,স্টেডিয়াম এই সকল প্রতিষ্ঠানে আমার বাপ-দাদার অনুদান রয়েছে। আমার বাবা মৃত্যুর পূর্বেই আমাদেরকে ১০০ বিঘা করে ধানী জমি সহ, প্রচুর আম বাগান ও বসতভিটা, রাজশাহীতে বাড়ি, নবাবগঞ্জ সদরে বাড়ি, দক্ষিণ শহরের পুকুর সহ অনেক নগদ টাকা পয়সা দিয়ে গেছেন।

আমার পিতার মৃত্যুর পর যথাযথভাবে সরকারকে খাজনা ও আয়কর প্রদান করে আসছি।যে সকল ঘুটা কুড়ানীর ছেলে,যারা মানুষের কাছে সিগারেট পান চেয়ে খেয়ে বড় হয়েছে, তাদের জানা উচিত, মহারাজপুর নাহালা ফিলিং স্টেশন (পাম্প) এর জায়গা ,চাতাল বাড়ী, বারঘরিয়ার বাড়ীটি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। রাজশাহী কোর্টের ধালানের যে জায়গা-সেই জায়গাটি ২০০৫ সালে আমার ক্রয় করা। রাজশাহী পোস্টাল এর জায়গাটিও ১৯৯৭ সালে আমার ক্রয় করা। রূপালী ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রাজশাহী কোর্টের ধালানের বাড়িটি ১৪ বছর ধরে তৈরি করা হচ্ছে,সেটিও রূপালী ব্যাংক এ দায়বদ্ধ ।
১৯৮১ সাল থেকে আমি মিনিবাস ও ট্রাকের মালিক ছিলাম। রাজশাহী বাস মালিক সমিতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সৃষ্টি থেকে আমি এ ব্যবসার সাথে জড়িত। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করে। আমি রাজশাহী শিরোইল স্কুল, রাজশাহি ল্যাবরেটরী হাইস্কুল, রাজশাহী নিউ ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করেছি। দেরিতে হলেও ডিগ্রী সার্টিফিকেট নিয়েছি।১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করতে গিয়ে জাতীয় চার নেতা শহীদ কামরুজ্জামান সাহেবের রাজশাহীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার হই। এবং কালো আইনে এক মাস জেল খাটতে হয়। যারা নিজেদেরকে ত্যাগী ও পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আওয়ামী লীগ বলে দাবি করে, তারা অনেকেই এক সময় জাতীয় পার্টি অথবা মিজান গ্রুপে ও বাকশালে চলে গিয়েছিলেন,যারা কাস্টমের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে,পান বিড়ি চেয়ে খেয়ে, সরকারি জমি জাল করে, মানুষের জমি জোর করে দখল করে,পকেটমার ছিনতাই এর ভাগ খেয়ে, টেন্ডারবাজি করে, আজ যারা রাজনীতির লেবাস পরেছেন,তারাই আমার বিরুদ্ধে নতুন করে আবারো লেখালেখি শুরু করেছেন।আমার বাপ দাদার পরিচয় ছিল, আছে।

যাদের বাপ-দাদার পরিচয় ছিল না, যাদের বাপ-দাদার ১০ বিঘা জমি ছিল না, যারা সিগারেট বিড়ি চেয়ে খেত, তারা কিভাবে পেট্রলপাম্প করল তারা কি করে, চাল মিল করল, তারা কি করে ফকির থেকে চৌধুরী হল, তারা কি করে ২০০ বিঘা জমির মালিক হলো, তারা কি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে ভালো ভালো জায়গার মালিক হলো। যারা আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তারা কি কানা না ঠসা না পাগল। ঐ সকল কানা ঠসা ও পাগলদের জানা উচিত আমি ও আমার পরিবারের এবং আমার আত্মীয়-স্বজন প্রত্যেকই শিক্ষায়, অর্থবিত্তে ও সামাজিকভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রতিষ্ঠিত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরাই যোগ্য। ঘুটা কুড়ানির ছেলেদের জানা উচিত,আমি কোন চাঁদাবাজি করিনি,আমি কোন টেন্ডারবাজি করিনি, বালুমহল লুটপাট করেনি, পরের জমি বা সরকারি খাস জমি দখল করেনি, এমনকি প্রশাসনের দালালিও করিনি। আমি জোতদার পরিবারের সন্তান। জমিজমা নিয়ে আমাদের পথ চলা। জমি কেনাবেচা করা আমাদের পেশা ও নেশা। সুতরাং জমির ভাগ বন্টন নিয়ে নিজ পরিবারের চাচা মামা ফুফু খালাদের সাথে বিরোধ থাকতেই পারে।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৫০০ খানা দলিল (কেনাবেচা) থাকতেই পারে। কিন্তু চাঁদাবাজি,কাস্টমস ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ অর্থাৎ (ফেনসিডিল ইয়াবা বেচাবেচা করে হঠাৎ করে ফকিন্নি থেকে বড়লোক হয়েছে যারা) তারা প্রকৃত অর্থেই সবাইকে নিজেদের মত করে ভাবে। আমি কোন নির্বাচনে কারচুপির আশ্রয় নেইনি। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে ছিলাম ।

দুই বারের সংসদ সদস্য ছিলাম। গত ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি প্রার্থীকে জয় দেখিয়ে আমাকে পরাজিত করা হলোও, আমি প্রায় ৮৭ হাজার ভোট পেয়ে জনগণের আস্থা ধরে রেখেছি। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা সচেতন মানুষ,প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করা বা লেখালেখি করা একজন ভালো সাংবাদিকের দায়িত্ব । আমরা জনগণ এটাই প্রত্যাশা করি ।। সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

মো. আব্দুল ওদুদ
সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
ও নবম এবং দশম সংসদ সদস্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT